মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার দিনটি দরজায় কড়া নাড়ছে। আর মাত্র চার দিন পরেই সেই কাঙ্খিত দিন।
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে পশু কোরবানির মাংসগুলো প্রস্তুত করার উপকরণ খাইট্টা সাজিয়ে বসে আছে রংপুরের ব্যবসায়ীরা।
মৌসুমি খাইট্টা ব্যবসায়ীরা বলেন, আকার ভেদে প্রতি পিস খাইট্টা ১০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। বছরে এই এক সপ্তাহকে ঘিরে তাদের স্বপ্ন অনেক।
রংপুর নগরীর লালবাগ রেলগেট এলাকায় শনিবার (১৭ জুলাই) বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে থরে থরে সাজিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে বসে আছে এসব খাইট্টা ব্যবসায়ীরা। এই রেলগেট ছাড়াও নগরীর মর্ডান মোড়, শাপলা চত্বর, টার্মিনাল, জাহাজ কোম্পানি, মেডিকেল মোড় এবং পৌর বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিক্রি হচ্ছে এই খাইট্টা।
জানা গেছে, কোরবানির ঈদের আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স-মিল ঘুরে ঘুরে তেঁতুল ও বেলগাছ বা কাঠের গুড়ি সংগ্রহ করেন। গুড়ি সংগ্রহের পর সেগুলোকে মাংস কাটার উপযোগী করে নির্দিষ্ট মাপে কেটে খাইট্টা তৈরি করেন তারা।
লাগবাগ এলাকার মৌসুমি খাইট্টা ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান মিয়া বলেন, “পাশের একটি হোটের সামনে পানের দোকান করি। এবারে করোনার কারণে সেটিও নিয়মিত খোলা সম্ভব হয়নি। আর বছরের এই সময়ে সব ফেলে খাইট্টা ব্যবসায় মনোনিবেশ করি।”
কাঠ কিনার খরচ বাদ দিয়েও এই সময়ে প্রায় ২০-৩০ হাজার টাকা উপার্জনের স্বপ্ন তার।
কেডিসি এলাকার খাইট্টা ব্যবসায়ী সাগর বলেন, প্রতিবছর তারা ৩/৪ জন বন্ধু মিলে এই ব্যবসা করি যা উপার্জন হয় তা ভাগ করে নেই। প্রতিবারের মতো এবারও প্রায় ৬০ হাজার টাকার গাছের গুড়ি কিনে খাটিয়া তৈরি করেছেন তারা। এই খাইট্টা ৫০-৭০ হাজার টাকা আয় হতে পারে বলে জানান সাগর। তবে কেনা-বেচা এখনও পুরোদমে শুরু না হলেও ঈদের আগের দিন সব বিক্রর আশা তার।