চিরচেনা সেই বই উৎসবের আয়োজন নেই। তারপরও নতুন বই পাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে অনেকেই স্কুলে চলে এসেছিল নির্ধারিত সময়ের আগেই। সঙ্গে নিয়ে এসেছে মা-বাবাকেও। শিক্ষকদের কাছ থেকে বই পেয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে বসে পড়ে কেউ কেউ। বই খুলে কেউ দেখছিল ছবি, কেউ পড়াও শুরু করে দেয়।
শনিবার বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে নতুন বই বিতরণের এ চিত্র দেখা যায় রাঙামাটি কাপ্তাইয়ে বিভিন্ন স্কুলে। করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও বই উৎসব হচ্ছে না। আবার একসঙ্গে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বইও দেওয়া হচ্ছে না। ধাপে ধাপে প্রতিটি শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বই দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মূলত, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ভিড় এড়াতে এভাবে বই বিতরণ করা হচ্ছে।
কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা কেআরসি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক। এই সময় সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হাসানসহ স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শনিবার সকালে কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং ইউপি সদস্য অমল কান্তি দের সভাপতিত্বে এইসময় কাপ্তাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইদ্রিচ, বড়ইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।