ভোলায় উগ্রবাদ প্রতিরোধে ছাত্র, গণমাধ্যম কর্মী ও সুশীল সমাজের ভূমিকা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৯ মার্চ) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু।
বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী এ কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী, গণমাধ্যম কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় ঘণ্টাব্যাপী প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাত লেলিন।
পরে পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার, দৈনিক আজকের ভোলা পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, বাসস ভোলা জেলা প্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর আলম নীরব মোল্লা, জেলা শিক্ষা গবেষণা কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিক, অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন, প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। এখানে সামাজিকভাবে জঙ্গিবাদ ও উগ্রতাকে সামাজিকভাবে উৎসাহী করা হয় না। আমরা মনেপ্রাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তাই কিশোর ও তরুণদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা উগ্রবাদের দিকে না যায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে সমাজে শান্তি আসবে।
বক্তারা আরো বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের করণীয় হচ্ছে তাদের বন্ধু বা বান্ধবীরা কাদের সাথে মেশে, কীভাবে সময় কাটায়-সেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা। গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্ব হলো উগ্রবাদ, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ-এসব সমস্যাগুলো তাদের লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরা। এ ব্যাপারে সুশীল সমাজকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে এটা শুধু বাংলাদেশের একার সমস্যা না, এটা বৈশ্বিক সমস্যা বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।