খুলনায় ইজিবাইক চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে খানজাহান আলী থানা-পুলিশ। এ সময় চুরি হওয়া ৩টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন খুলনা গল্লামারি লাইন্স স্কুলসংলগ্ন আবু তালেব শরিফের ছেলে তাজুল শরিফ (৩৫), খানজাহান আলী থানার গিলাতলা দক্ষিণ পাড়ার ওহিদ শেখের ছেলে মো. সোহেল রানা (১৯), নড়াইল নড়াগাতির সিদ্দিক শিকদারের ছেলে বিপুল শিকদার (৩০), টুঙ্গিপাড়ার নিলফা গ্রামের দবির মোল্লার ছেলে রনি মোল্লা, নড়াইল নড়াগাতির ওহাব মোল্লার ছেলে চুন্নু মোল্লা (২৮), নড়াইল কালিয়া গ্রামের কেরামত খন্দকারের ছেলে তুহিন খন্দকার (৪০) খুলনা তেরখাদার নলিয়ারচর এলাকার এলাহী শেখের ছেলে মিঠু শেখ (৩৫) এবং নড়াইলের মৃত নুর মো. মোল্লার ছেলে মহাসিন মোল্লা (৪০)।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দৌলতপুর থানা এলাকার মধ্যডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রনজিতা বেগম খানজাহান আলী থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখে খুলনা গল্লামারি থেকে ইজিবাইক রিজার্ভ করে ২ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা গিলাতলা জাহানাবাদ চিড়িয়াখানায় আসে। সেখানে এসে ইজিবাইকচালক সাকিবের (১৯) মোবাইলে বিকাশে টাকা এনে যাত্রীবেশী চোর চক্র নিজেরা জুস খায়। এই সময় ইজিবাইক চালককেও জুস খাইয়ে অচেতন করে ফুলতলার বেজেরডাঙ্গায় ফেলে রেখে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ইজিবাইক চালককে উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বজনদের খবর দেয়। এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক সাকিবের বাবা শহিদুল ইসলাম গত ১২ জানুয়ারি খানজাহান আলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
কেএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (দৌলতপুর জোন ) মো. জাফর আহম্মেদের নেতৃত্বে খানজাহান আলী থানা পুলিশের একটি দল অভিযান শুরু করে। পরে ইজিবাইক চোর সিন্ডিকেট চক্রের প্রধান তাজুল শরিফকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ইজিবাইক সিন্ডিকেট চক্রের অন্য সদস্যদের আটক করা হয়।
খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, আটক ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীবেশে অভিনব কৌশলে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছেন। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় চুরিসহ নানা মামলা রয়েছে।
ওসি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।