দেশের পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নে বাবা-ছেলের ভোটের লড়াইয়ে ছেলে জিতে গেছেন। যদিও ভোটের আগেই বাবা তার ছেলেকে সমর্থন দিয়ে ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান।
যশাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এবং নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু হাসান আর দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন তার বাবা আবদুল হাকিম খান (ঘোড়া)। আব্দুল হাকিম খান সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষে রাতে পাংশা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে যশাই ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে আবু হাসানকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আবু হাসান (নৌকা) পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০০ ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সিদ্দিকুর রহমান (আনারস) পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৮৬ ভোট আর আবু হোসেনের বাবা আবদুল হাকিম খান পেয়েছেন ১১ ভোট।
আবু হাসান জানান, “ইউনিয়নে আমার এবং বাবা জনপ্রিয়তা সবসময়ই বেশি। আমি আমার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। দলও আমাকে যোগ্য মনে করে এবার মনোনয়ন দেয়। আমার বাবা আব্দুল হাকিব খানও ও জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান। এখনো এলাকায় তার জনপ্রিয়তা ব্যাপাক। ভোটের আগে কেউ তার আবেগের সুযোগ নিয়ে ভোটে দাঁড় করিয়েছিল। তবে, তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান এবং আমাকে সমর্থন দেন।”
আবদুল হাকিম খান বলেন, “দল এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। আমার ছেলে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।”
এর আগে বাবা-ছেলের ভোট দাঁড়ানো নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ভোটের আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে সেসব আলোচনা সমালোচনা বন্ধ করেন আবদুল হাকিম খান।