• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইউএনওর বিরুদ্ধে বেতন ভাতা বন্ধ রাখার অভিযোগ


কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২, ০৭:৩৭ পিএম
ইউএনওর বিরুদ্ধে বেতন ভাতা বন্ধ রাখার অভিযোগ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমএম মনজুরুল হকের বিরুদ্ধে ১৬৯ জনপ্রতিনিধি ও ৭৭ জন গ্রাম পুলিশের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক মাস ধরে ইউএনও ইচ্ছাকৃতভাবে বেতন-ভাতা বন্ধ রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তোভোগীরা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত উপজেলার তেরটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ১৬৯ জন জনপ্রতিনিধির বেতন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গত বছরের নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে ৭৭ জন গ্রাম পুলিশের বেতন-ভাতাও। এর মধ্যে অনেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি। তারাও এ সম্মানী ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সফল করতে জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশের বেতন ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

গ্রাম পুলিশের নারী সদস্য আনোয়ারা ও রুবিয়া বেগম অভিযোগ করে জানান, তিন মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

১০ নম্বর বাতিসা ইউপির চেয়ারম্যান জিএম জাহিদ হোসেন টিপু বলেন, “ইউপি চেয়ারম্যানসহ অনেক সদস্য সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসতে পারেননি। কিন্তু গত চার মাস ধরে আমাদের সম্মানী ভাতা বন্ধ রেখেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।”

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি আলকরা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল বলেন, “জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সফল করতে বেতন ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। এভাবে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম শতভাগ সফল করার আইন আছে কিনা আমার জানা নেই। অনেক গ্রাম পুলিশ তাদের কষ্টের কথা আমার কাছে বলেছেন।”

জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশের বেতন-ভাতা বন্ধের কথা স্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মনজুরুল হক।

তিনি বলেন, “শূন্য থেকে ৪৫ দিন বয়সী শিশুদের জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সফল করা জনপ্রতিনিধি ও গ্রামপুলিশদের দায়িত্ব। তারা এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় বেতন ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আগামী মাস থেকে যথারীতি বেতন ভাতা দেওয়া হবে।”
 

Link copied!