বাগেরহাটের মোংলার ইপিজেড এলাকা থেকে সুন্দরবনের একটি চিত্রা হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। তবে ব্যস্ততম এবং যান্ত্রিক এ লোকালয়ে হরিণ আসা এবং উদ্ধার নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। বন বিভাগ বলছে, পথ ভুলে হরিণটি ওই এলাকায় গিয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয়দের দাবি, পাচারকারীর কবলে থেকে পালিয়ে এ এলাকায় আশ্রয় নিতে পারে হরিণটি।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে উপজেলার মোংলা ইপিজেড এলাকা থেকে হরিণটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে হরিণটিকে বন বিভাগের কর্মকর্তা করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্র নিয়ে যান।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে মোংলা ইপিজেড এলাকায় চিত্রল হরিণটি দেখতে পান কয়েকজন স্থানীয়। এ সময় তারা হরিণটিকে তাড়া করে আটক করেন। সকাল সাড়ে ৯টা দিকে হরিণটিকে বনবিভাগ উদ্ধার করে করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, লোকালয় থেকে উদ্ধার হওয়া হরিণটিকে ট্রলারে করে করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আনা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হরিণটিকে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আজাদ কবির আরও জানান, হরণটি ৭-৮ মাস আগে সুন্দরবন থেকে নদী সাঁতরিয়ে লোকালয়ে আসে। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে ইপিজেড এলাকায় ঝোঁপঝাড়ের ভিতরে লুকিয়ে যায়।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে হরিণ আসা বা ৭-৮ মাস ধরে অবস্থান করা রহস্যজনক। কোনো পাচারকারী চক্র হরিণটিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় হয়তো হরিণটি পালিয়ে যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন মোংলায় পরিবেশবীদ নূর আলম শেখ।