• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অভিযানে গেলেই পাখি হয়ে যায় হাঁস!


সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২, ০৯:৩২ এএম
অভিযানে গেলেই পাখি হয়ে যায় হাঁস!

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারে অবাধে সব রেস্টুরেন্টে বিক্রি হয় বন্য পাখির মাংস। কিন্তু অভিযানে গেলেই সব হয়ে যায় হাঁস কিংবা কোয়েল পাখি। তাই পরিবেশকর্মীরা অবলম্বন করলেন ভিন্ন কৌশল। খাবার জন্য সব পাখির মাংসের নাম জেনে খেতে বসলেন তারা। এমন সময় শুরু হলো ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। 

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হরিপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের সমন্বয়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেন জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী।

অভিযানের শুরুতে দোকানে থাকা বিক্রেতা ওয়াহিদ মিয়া প্রশাসনের কাছে সব মাংস হাঁস আর কোয়েল পাখির বলে দাবি করে বসেন। তবে শেষমেশ পরিবেশকর্মীদের ধারণ করা ভিডিও চিত্রে প্রমাণিত হলো এগুলো বন্য পাখির মাংস। পরে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না বলে মুচলেকা দেন তিনি।

অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদি সারোয়ার, রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, সংবাদকর্মী রাজীব রাসেল, রিপন দে, শাহ শরীফ উদ্দিন ও র‌্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌমেন মজুমদারের নেতৃত্বে ডিএডি জসিম, এসআই নাজমুলসহ ৭ সদস্য।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারু মিয়া রেস্টুরেন্ট ৩৩ বছর থেকে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এ জন্য একাধিকবার জরিমানাও গুনতে হয়েছে তাদের। তবে কয়েক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেস্টুরেন্টটি ব্যাপক প্রচার পেলে দূরদূরান্ত থেকে দল বেঁধে লোকজন এই রেস্টুরেন্টে খেতে আসেন। বাদ পড়েন না জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। সময়ের সঙ্গে ওই রেস্টুরেন্টের আশপাশে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট গড়ে ওঠে। সবগুলোতেই পাখির মাংস বিক্রি হয়।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের বন্য প্রাণী ও জৈববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদি সারোয়ার বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য ছিল এখানে বন্য পাখির মাংস বিক্রি করা হয়। তাই অভিযানের ব্যবস্থা করা হলে এখানে এসে বালিহাঁস, কালিম, ডাহুক, কুড়া, শামুকখোল, বক, ঘুঘু পাখির মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। কাঁচা মাংস ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপাতত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় আশপাশের সব রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হলেও তারা অভিযানের খবরে আগেই সবকিছু সরিয়ে নিয়েছেন।”

Link copied!