কুমিল্লার হোমনায় স্কুলছাত্র জাহিদ হাসানকে অপরহণ ও হত্যার দায়ে তার তিন বন্ধুকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৪ এর বিচারক সেলিনা আক্তার মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুর ২ টায় এই রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী কামরুজ্জামান বাবুল ও আবদুল্লাহ আল নোমান।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামি খাইরুল ইসলাম। আসামি জিহাদ হোসেন ও এমদাদ হোসেন জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
নিহত জাহিদ হাসান উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের সাপলেজি গ্রামের ব্যবসায়ী মো. আক্তারুজ্জামানের ছেলে ও দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। আসামিরা ছিলেন তার বন্ধু। ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর জাহিদকে বাড়ির পাশ থেকে অপহরণ করেন আসামিরা। তাকে না পেয়ে পরদিন হোমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার।
অপহরণকারীরা ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিহতের চাচা মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। বিষয়টি পরিবার থানা পুলিশকে জানায়। এরপর ফোনকলের সূত্র ধরে জিহাদ, এমদাদ ও খাইরুলকে আটক করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরণের পর জাহিদকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাদের দেওয়া তথ্যে জাহিদের মরদেহ দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর উদ্ধার করা হয়। পরে ওই তিনজনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জাহিদের বাবা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, “আমার ছেলেকে তারা নৃশংসভাবে মেরেছে। আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। আমি তাদের মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিলাম।”