করোনা মহামারিতে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য় খুলে দেওয়া হলো থাইল্যান্ড। পর্যটকরা কিছু শর্ত মেনে দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারবেন। এরইমধ্যে থাইল্যান্ডের ফুকেতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা।
থাইল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, প্রথম দফায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রায় ২৫০ জন পর্যটক ফুকেটে ঘুরতে গিয়েছেন। এরমনকি তাদের কোন ধরনের কোয়ারেন্টাইনেও থাকতে হচ্ছে না।
পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ থাইল্যান্ড। অনেকে পর্যটকই রয়েছেন যারা বছরের একবার হলেও থাইল্যান্ড ঘুরে আসবেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রায় ৪ কোটি বিদেশি পর্যটক থাইল্যান্ড ভ্রমণে যান। ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৭ লাখে। ২০২১ সালের এই পর্যন্ত দেশটিতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৮ হাজারের মতো। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় পর্যটনের স্থানগুলোতে ভ্রমণ আবারও নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির সরকার।
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, থাইল্যান্ডের অর্থনীতি চাঙ্গা করতেই বিদেশিদের জন্য স্থানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে শর্ত সাপেক্ষে বিদেশি পর্যটকরা প্রবেশের অনুমতি পাবে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান ওচা জানান, দেশের অর্থনীতির বড় অংশ পর্যটন খাত। অর্থনীতির কথা ভেবেই ঝুঁকি নিয়ে বিদেশি পর্যটকদের জন্য় খুলে দেওয়া হয়েছে। বিদেশি পর্যটকরা চাইলে ফুকেতে কিছুদিন কাটানোর পরই রাজধানীতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
থাইল্যান্ড প্রশাসন জানায়, ‘ফুকেত স্যান্ডবক্স’ নামে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে বিদেশি পর্যটকদের জন্য। এই ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে_
তবে এসব শর্ত মেনেও বিশ্বের কিছু দেশের পর্যটকরা এখনও থাইল্যান্ড ভ্রমণে অনুমতি পাননি। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, হংকং ও চীনের মতো কয়েকটি দেশের পর্যটকদের জন্য় কোয়ারেন্টাইন-ফ্রি এন্ট্রির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।