করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাকাল দেশের পর্যটন শিল্প। পর্যটকরাও গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন। ভ্রমণের পিপাসায় দিন গুনছেন কবে তারা দেশ থেকে দেশান্তর হতে পাবরেন। মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে পারবেন। এর মধ্য়েই যারা সুযোগ পাচ্ছেন দ্রুত ছুটছেন দেশের অভ্যন্তরীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেকে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছেন। তবে এর সংখ্যা খুবই কম। দেশের পর্যটনশিল্প স্বাভাবিক হতে বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সময় পর্যন্ত ভ্রমণে খরচ জমিয়ে নিতে পারেন। অনেকেই রয়েছেন যারা সাধ্যের মধ্যেই ভ্রমণ শেষ করতে চান। তাদের উদ্দেশ্যেই কিছু পরামর্শ বা টিপস থাকছে এই আয়োজনে_
ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা আগেই গুছিয়ে নিন। খরচে সাশ্রয় করতে ভ্রমণে যাওয়ার ৪ থেকে ৫ মাস আগেই টিকিট কেটে রাখুন। সেক্ষেত্রে অনেকটা কমেই টিকিট কিনতে পারবেন। টাকাও বেঁচে যাবে।
যেহেতু ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনাটা আগেই করে রাখছেন তাই প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আলাদা করে রাখুন। এতে ভ্রমণে যাওয়ার আগে নিশ্চিন্তে থাকা যাবে।
একা ঘুরতে না গিয়ে কয়েকজন একসঙ্গে ঘুরতে যান। একসঙ্গে কয়েকটি স্থানে ঘুরে আসতে পারেবন। এতে মাথা পিছু খরচ অনেকটা কমে যাবে। সেই টাকা অন্য কাজে লাগাতে পারবেন।
ভ্রমণে গিয়ে নিজের বিলাসিতাকে প্রশ্রয় দিবেন না। যেমন বিলাসবহুল হোটেলে থাকা, দামী রেস্টুরেন্টের খাওয়া ইত্যাদি এমন জিনিসগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। যতটুকু পারবেন ভালো পরিবেশে ভালো হোটেলে থাকুন।
বিলাসি খাওয়া দাওয়া না করে যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় খাবারগুলো চেখে দেখুন। এই স্বাদ নিজের বাড়িতে পাবেন না।
বিমানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? যাতায়াতের আগে করলে ব্যাগের ওজনের দিকে নজর রাখুন।
ভ্রমণে গেলে স্থানীয় ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারের চেষ্টা করুন। এতে খরচ কমে আসবে।
ভ্রমণে হালকা পোশাক পরুন। ব্যাগ যত কম হবে ভ্রমণ ততোই আরামদায়ক হবে।
কেনাকাটার জন্য় নির্দিষ্ট বাজেট রাখুন। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা বেঁচে গেলে তা কেনাকাটায় যোগ করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন তা যেন অতিরিক্ত না হয়।