ভারত ভ্রমণে ঘুরে আসুন আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২২, ১০:৪৮ এএম

ছুটি পড়লেই ঘুরতে বের হন ভ্রমণপ্রেমীরা। গরমেও ব্যতিক্রম নয়। দু-এক দিনের বন্ধ পেলেই কিংবা সপ্তাহখানেকের ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসেন পাহাড় বা সমুদ্রের ধারে। দেশে কিংবা বিদেশের কোনো পাহাড় বা সমুদ্রের পাড়ে ছুটে বেড়ান। ভারত ভ্রমণেও এখন ছুটছেন অনেকে। করোনা মহামারির প্রভাব খানিকটা কেটে যাওয়ায় ভারত ট্যুরে যাচ্ছেন। 

ভারত ভ্রমণে এবার সমুদ্রপাড়ে ঘুরে আসতে পারেন। পাড়ি দিয়ে আসতে পারেন বঙ্গোপসাগর। বেশি দিনের ছুটি পেলে ঘুরে আসুন আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ থেকে। প্রকৃতির রং আর নীলচে সবুজ জলরাশি যেখানে এক হয়ে গিয়েছে। সবুজে ঘেরা এই দ্বীপটি দেখতে ছবির মতো। অপরূপ প্রকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। সেই সঙ্গে আন্দামান দ্বীপের সঙ্গে জড়িয়ে আছে লড়াই, বিপ্লবের ইতিহাস।

ভারতের কলকাতা হয়ে যেতে পারেন এই দ্বীপে। সেখান থেকে দুইভাবে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বিমানে এবং জাহাজে করে যাওয়া যাবে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ারগামী বিমানে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাবে। তবে জাহাজে যেতে সময় লাগবে বেশ কিছুদিন। শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডে থেকে জাহাজের টিকিটের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে হবে এবং টিকিট করে যাত্রা শুরু করতে হবে। কলকাতা থেকে মাসে একাধিকবার আন্দামানের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়ে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

জাহাজ ভ্রমণে দেখা মিলবে নীলচে-সবুজ সাগরের পানি। আরও দেখা যাবে প্রবাল প্রাচীর আর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। দ্বীপে পৌঁছে আরও চোখে পড়বে সেলুলার জেল এবং ভাইপার দ্বীপ। ভারত স্বাধীনতা আন্দোলনে অসংখ্য বিপ্লবীর আত্মত্যাগের গল্প গেঁথে আছে সেলুলার জেলে। এখানে লাইট অ্য়ান্ড সাউন্ড শোর ব্যবস্থাও রয়েছে।

ভাইপার দ্বীপে গেলে একাধিক লাইটহাউসের দেখা মিলবে। যার ওপর থেকে দেখা যাবে গোটা দ্বীপটি। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে আরও রয়েছে একাধিক দ্বীপ। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আইল্যান্ড, হ্যাভলক দ্বীপ। পোর্ট ব্লেয়ার শহর থেকে নৌপথে হ্য়াভলক দ্বীপে পৌছানো যাবে। সেখানে রয়েছেন রাধানগর সৈকত, যা বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয়। সেখানে সরকারি আবাস, বেসরকারি হোটেল ও রিসোর্টের ব্যবস্থা রয়েছে পর্যটকদের জন্য। আন্দামানে আরও রয়েছে একাধিক ওয়াটার স্পোর্টসের সুযোগ। স্নোরকেলিং বা স্কুবা ডাইভিং সবকিছুর সুব্যবস্থা রয়েছে এই দ্বীপপুঞ্জে।

১৯৪৩ সালে জাপানিরা আন্দামান দখল করলে সেখানে আজাদ হিন্দ সরকারের প্রতিষ্ঠা করেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। আন্দামান – নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নাম শহিদ ও স্বরাজ দ্বীপপুঞ্জ করার দাবি জানান নেতাজি। অবশেষে দেশটির বর্তমান মোদি সরকারের হাত ধরে পূরণ হয় নেতাজির সেই ইচ্ছা।