বান্দরবানে সুড়ঙ্গ পথে একদিন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

সুড়ঙ্গের কথা শুনলেই কেমন যেন এক রহস্যের গন্ধ পাওয়া যায়। কৌতূহলের জন্ম দেয় অনেকেরই মনে। কী আছে সেই সুড়ঙ্গের ওপারে। সুড়ঙ্গ নিয়ে ইতিহাস আছে অনেক। এটি মূলত ভূমির নিচে অবস্থিত একটি যাত্রাপথ। আগে জমিদার বা রাজপ্রসাদগুলোতে রাজাদের বিপদের সময় পালিয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য সুড়ঙ্গ কেটে রাখত। 

বর্তমানেও সুড়ঙ্গের কথা জানা যায়। তবে সেটা আধুনিক নানা কাজে ব্যবহারের জন্য নির্মিত। যে কারণেই নির্মিত হোক সুড়ঙ্গ, তা মানুষের মনের মধ্যে কৌতূহলের জন্ম দেয়। সেই সুড়ঙ্গ পথে হাঁটতে চায় কৌতূহলী মানুষেরা। কিন্তু সব সময় সম্ভব হয় না। এই যেমন রাজধানীর লালবাগ কেল্লাতেও আছে এক সুড়ঙ্গ। কিন্তু তার পথ বন্ধ রাখা হয়েছে বিপদ ঠেকানোর জন্য। তাই সুড়ঙ্গে খুব কাছাকাছি থেকেও সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয় না ভ্রমণ প্রিয়দের।

যারা সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে হাঁটতে চান, সুড়ঙ্গের ভেতর ভ্রমণের স্বাদ নিতে চান, তারা ঘুরে আসতে পারেন বান্দরবান জেলায়। বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় রয়েছে আলীর সুড়ঙ্গ। খুব বেশি বড় না এই সুড়ঙ্গের পথ, ১০০ ফুটের কাছাকাছি। যাদের ছোট গুহা পাড়ি দিয়েও মন ভরবে না তাদের জন্য এই সুড়ঙ্গের পাশেই প্রায় একই লম্বার আরও দুটি গুহা রয়েছে। 

এসব সুড়ঙ্গ পথে আপনিও হাঁটতে পারবেন। তবে যেহেতু মাটি কেটে বানানো হয়েছিল এই সুড়ঙ্গ পথ, তাই এর ভেতর বেশ অন্ধকার। এই গুহা পাড়ি দেওয়ার জন্য সঙ্গে রাখতে হবে আলো আর সাহস। অতিরিক্ত সাহসী না হলেও চলবে। কারণ গুহার ভেতর মাঝেমধ্যে বাদুরের ওড়াউড়ি দেখতে পাবেন।

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরেই মাতামুহুরীর তৈন-খাল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা দু’পাহাড়ের চূড়ায় প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয় আলীর গুহা বা আলীর সুড়ঙ্গ। ঝিরি থেকে দেড় শ ফুট উপরে এই গুহা। রহস্যে ঘেরা এই সুড়ঙ্গের নামকরণের ইতিহাস জানা যায়নি।

ঝিরি থেকে গুহায় উঠতে আগে অনেক কষ্ট হলেও বর্তমানে সেই সমস্যা নেই। আলীকদম সেনা জোনের উদ্যোগে তিনটি সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে সহজেই গুহার কাছে চলে যেতে পারেন দর্শনার্থীরা।

ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের চকরিয়া বাস টার্মিনালে নামতে হবে। চট্টগ্রাম থেকে বাসেও চকরিয়া যেতে পারবেন। চকরিয়া বাস টার্মিনাল থেকে মাতামুহুরি পরিবহন সার্ভিসের বাস প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রতিদিন আলীকদমের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৬০ টাকা। দেড় ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগে যেতে। এ ছাড়া চাঁদের গাড়িতেও যেতে পারেন। সুড়ঙ্গে ঢুকতে হলে স্থানীয় আদিবাসীদের গাইড হিসেবে নিতে হবে।