খুঁজে পাবেন জ্বলজ্বলে ইতিহাস। কালের বিবর্তনে পথ-ঘাট-প্রান্তর বদলে গেছে, তাই বলে প্রাচীন পুরাকীর্তি তো মুছে যায়নি; বরং অনেক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে রংপুরে। বদলে গেছে জীবনচিত্র।
সব বয়সী মানুষের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে রংপুরে। এর সঙ্গে ইতিহাসকেও মেলাতে পারবেন। পাঠ্যবইয়ে পড়েছেন, কিন্তু দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া। এবার সেটা দেখতে পাবেন দুই চোখ ভরে।
রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দে বেগম রোকেয়ার বসতভিটার স্মৃতিচিহ্ন আছে। আছে সদরের তাজহাটের জমিদারবাড়ি। একসময় এই তাজহাট জমিদারবাড়ির প্যালেসে রাতে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় খেলাধুলা হয়েছে। এই বাড়ির শ্বেতপাথরের সিঁড়িটি আনা হয়েছিল ইতালি থেকে। এখন অবশ্য এটা জাদুঘর।
কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতা থেকে রংপুর টাউন হলে মঞ্চনাটক দেখতে এসেছিলেন। এই হলটির এখন জীর্ণ দশা, তবে ঐতিহাসিক মূল্য এতটুকুও কমেনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নারীনেত্রী দেবী চৌধুরানীর জমিদারবাড়িটির অবস্থান পীরগাছায়। জমিদারবাড়ির শেষ চিহ্নটুকু ঘুরে দেখতে দেখতে তুলে রাখতে পারেন ছবি। ইতিহাসের সাক্ষী দুটি প্রাচীন বিদ্যাপীঠ কারমাইকেল কলেজ ও রংপুর জিলা স্কুলের দিগন্তজোড়া খোলা মাঠে ঘুরে বেড়ালে মনটা জুড়িয়ে যাবে।
একটু ভিন্ন ধরনের বিনোদন পেতে যেতে পারেন রংপুর নগর থেকে একটু দূরে গঙ্গাচড়ার পাগলপীর গঞ্জিপুর এলাকার ভিন্ন জগতে। এখানে আছে আজব গুহা। বিরাট এলাকাজুড়ে গাছের ছায়ায় ঘেরা এ বিনোদন স্পটে আছে অনেক কিছু। সৌরজগৎকে জানতে আছে প্ল্যানেটারিয়াম। আছে তাজমহল, মস্কোর ঘণ্টা, আইফেল টাওয়ার, চীনের প্রাচীরসহ আরও অনেক কিছু।
রংপুরের গঙ্গাচড়া-কাউনিয়ায় তিস্তা নদীতে ভেসে বেড়াতে পারেন পালতোলা বা ডিঙিনৌকায়। শহরের মধ্যে আছে চিকলি লেক। আর এই লেকের ধারে গড়ে তোলা হয়েছে বিনোদন পার্ক। সেখানে বিভিন্ন রাইডে চড়ে লেকের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ আছে। কেউ পশুপাখি পছন্দ করলে যেতে পারেন রংপুর চিড়িয়াখানায়।