রেফারিকে মারতে বোতল হাতে নিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন কোচ, তবে পুরো সফল হননি। তাকে খেলার রীতি অনুযায়ী না সামলে উল্টো ‘কুংফু কিক’ মেরে বসেন ওই রেফারি।
পেরুর রাজধানী লিমায় পেরু কাপের ম্যাচে সম্প্রতি ওই ঘটনা ঘটে। যে কারণে স্পোর্ত হুয়াকিয়া ও মাগদালেনার ম্যাচটি প্রায় শেষের পথে থাকলেও, ৮ মিনিট বাকি থাকতেই খেলা বাতিল করে দেওয়া হয়। ৮২ মিনিট পর্যন্ত স্বাগতিক হুয়াকিয়া ম্যাচে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল।
তখনই হঠাৎ বোতল নিয়ে মাঠে ঢুকে মাগদালেনার এক কোচিং স্টাফ রেফারির দিকে ছুটে যান। যা দেখে রেফারি আগেভাগেই অ্যাকশনে যান। তার লাথি খেয়ে মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই কোচ।
রেফারি লুইস অ্যালেগ্রির কারাতে কায়দায় মারা সেই লাথি লাগে মাগদালেনার কোচিং স্টাফটির ঘাড়ে। অবশ্য তাকে নাকি আগে থেকেই লাল কার্ড দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রেফারি। সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, সহকারী রেফারি বা লাইন্সম্যান মাগদালেনার ডাগআউটে থাকা কাউকে সতর্ক করছিলেন।
তার ইঙ্গিত দেখে রেফারিও কার্ড দেখানোর জন্য হাতে নিয়েছিল। টিভি ফুটেজেও তেমনটাই দেখা যায়। যদিও পরে আর সেই কার্ড দেখানো হয়নি, শারিরীক আক্রমণেই মুহূর্তটা সামাল দিলেন রেফারি।
ওই ঘটনার পরই রেফারিকে বাঁচাতে মাঠে চলে আসে পুলিশ। কিছুক্ষণ সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল, একপর্যায়ে ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। আহত কোচিং স্টাফকে পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় রেফারি ও কোচ দুজনের বিরুদ্ধেই শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে পদক্ষেপ দেওয়া হতে পারে।
পেরুভিয়ান ফুটবলে অবশ্য এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০১৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ওয়েলিংটন স্মিথ প্রতিপক্ষের একজনকে কারাতে কিক মারায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। তাৎক্ষণিক সেই কার্ডের ঘটনায় সেই ফুটবলার পরে নিষেধাজ্ঞায় থাকেন ১৪টি ম্যাচে।