টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে যে আত্নবিশ্বাস বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিল, টানা ম্যাচ হেরে তা ঠেকেছে তলানিতে। ঘরের মাঠে দুর্দান্ত বাংলাদেশ বিদেশে খেলতে গেলেই কেমন মিইয়ে যায়। নিজেদের প্রত্যাশিত প্রতিভার প্রদর্শন করতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। টাইগারদের ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায় আছে জানিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার জন্য বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এই মিশনের প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে বসে সাকিবরা। ফলে চারদিকে টাইগারদের নিয়ে চলে সমালোচনা। এমনকি স্কটল্যান্ড ম্যাচের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে মিডিয়ার সামনে সমালোচনা করেন।
খেলোয়াড়রা মাঠে খারাপ খেললে তা নিয়ে সমালোচনা হবে তা স্বাভাবিক। কিন্তু টুর্নামেন্ট চলাকালে মিডিয়ার সামনে এভাবে মিডিয়ার সামনে কথা বলাকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না মাশরাফি। সমালোচনার কারণে খেলোয়াড়রা চাপে থাকে আর এ জন্য মাঠে তারা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে না বলে বিশ্বাস করেন মাশরাফি।
দেশের শীর্ষ স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাশরাফি বলেন, “বোর্ডের এসব সমালোচনা দলের ওপর চাপ তৈরি করেছে এবং খেলোয়াড়েরাও চাপ নিয়েছে। ক্রিকেটাররা কিন্তু দুঃসময়ে ক্রিকেট বোর্ডের দিকেই তাকিয়ে থাকে। ক্রিকেট বোর্ডের আরও বেশি ধৈর্যশীল হওয়া উচিত ছিল। কোনো খেলোয়াড় ভালো না খেললে টুর্নামেন্টের পর তো তাকে বাদ দেওয়ার সুযোগ আছেই! ততক্ষণ দলটা টুর্নামেন্টে আছে, ততক্ষণ কথা না বলাই উচিত।”
ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সাফল্য পেতে চাইলে তাদেরকে আরও সময় দিতে হবে। যেহেতু সবার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই বিশ্বকাপে একটা দল পাঠিয়েছে বিসিবি। তাই সাফল্যের জন্য বোর্ডকেও ধৈর্য ধরার কথা জানান মাশরাফি।
মাশরাফি বলেন, “কারণ, ক্রিকেট বোর্ডই এই দলটাকে বিশ্বকাপে পাঠিয়েছে। কেউ খারাপ খেললেও তো তাকে আর বদলানোর সুযোগ নেই। কাজেই আপনাকে ধৈর্য ধরতেই হবে। আর যদি আপনার সেই ধৈর্য না থাকে, তাহলে আপনার আরও আগেই চিন্তা করা উচিত ছিল এটা আপনার সেরা দল কি না। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড যখন একমত হবে এটাই তাদের সেরা দল, তখন কিন্তু সেই দলের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য ধৈর্য ধরতে হয়।”
বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের জন্য আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া।