চোটে জর্জরিত বাংলাদেশ দল। হারাধনের দশটি ছেলের মতো একে একে স্কোয়াড থেকে ছিটকে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এমন পরিস্থিতিতে সেরা একাদশ সাজানো নিয়েই সংকটে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আর ২ ম্যাচ বাকি। কিন্তু এই দুই ম্যাচে সেরা একাদশ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন সাকিব আল হাসান। এর আগে চোটে পড়ে দেশে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তলপেটের চোটে ভুগছেন কিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের স্কোয়াডে সুস্থ ক্রিকেটার আছেন ১৩ জন। এরপর যদি আর কোনো ক্রিকেটার চোটে পড়েন, তাহলে একাদশ সাজানোই মুশকিল হয়ে যাবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের ম্যাচে চোটে পড়েন সাকিব। ওই ম্যাচে তলপেটের ব্যথার করণে খেলতে পারেননি সোহান। এর আগে সাইফুদ্দিন চোটে পড়লে তার বদল নেওয়া হয় রুবেল হোসেনকে। তবে বিসিবি জানিয়েছে, সাকিবের পরিবর্তে দলে কোনো খেলোয়াড় নেওয়া হবে না।
সাকিবের পরিবর্তে দলে কাউকে নেওয়ারও অবশ্য সুযোগ নেই। দেশ থেকে বদলি কাউকে নিয়ে গেলে সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে তাকে করতে হবে বাধ্যতামূলক ৬ দিনের কোয়ারেন্টিন। কিন্তু এই ৬ দিনের মধ্যেই বাকি দুই ম্যাচ খেলে ফেলবে টাইগাররা।
সাধারণত একাদশের বাইরে অফিসিয়াল একজন দ্বাদশ খেলোয়াড় থাকেন হিসেবে। যিনি প্রয়োজন হলে বদলি ফিল্ডার হিসেবে খেলেন। পাশাপাশি মাঠে খেলোয়াড়দের জন্য পানি বা অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্বাদ্বশ খেলোয়াড়ের জন্য মাত্র দুজন খেলোয়াড় থাকছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর), দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। আর বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে গ্রুপপর্বের মেষ ম্যাচ। যেহেতু সেমি ফাইনালের যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই এই দুই ম্যাচ নিয়েই শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।