এবারের বিশ্বকাপে জটিল সব সমীকরণের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বড় বড় দলগুলোকে। গ্রুপ-১ এর দলগুলো যতটা স্বস্তিতে আছে গ্রুপ-২ এর দল গুলোর অবস্থা ঠিক তার বিপরীত। কারণ, এই গ্রুপে আছে বিশ্বকাপ শিরোপার দাবিদার ভারত, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। আফগানিস্তানও ছেড়ে কথা বলছে না কাউকে। এমনকি এই গ্রুপের সহযোগী দুই দেশের মধ্যে একটি ম্যাচ জিতেছে নামিবিয়া আর স্কটিশরা এখনও আছে জয়ের খোঁজে।
প্রত্যেক গ্রুপ থেকে সেমি ফাইনাল খেলবে দুইটি করে দল। আর বাকি সব দলকে ধরতে হবে বাড়ির পথ। গ্রুপ-২-এর দলগুলোর যে অবস্থা তাতে বড় দলগুলো থেকেই বাদ পড়বে অন্তত একটি দল। এমনকি হতে পারে নিউজিল্যান্ড বা ভারত।
চলুন দেখে নেই কী হতে চলেছে গ্রুপ-২-এ
এই গ্রুপে হ্যাট্রিক জয়ে টেবিলের সবার উপরে অবস্থান পাকিস্তানের। পরের দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ দুই সহযোগী দেশ স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া। প্রথম তিন ম্যাচে পাকিস্তান যে দাপটের সঙ্গে খেলেছে তাতে বলাই যায় সেমি ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে বাবর আজমরা।
এই গ্রুপ থেকে যদি প্রথম দল হিসেবে যদি পাকিস্তান সেমিতে পা রাখে তাহলে দ্বিতীয় হবে কোন দল তা দেখার পালা।
গ্রুপ-২ তে দুই ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান আর স্কটল্যান্ড। এর মধ্যে একটি জয় পেয়েছে আফগানরা আর স্কটল্যান্ড এখনও জয়ের দেখা পায়নি। আফগানদের বাকি ম্যাচগুলো হল নামিবিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এর মধ্যে যদি দুইটি ম্যাচ জিতে যায় তারা তাহলে কপাল পুড়তে পারে ভারত অথবা নিউজিল্যান্ডের।
ভারত আর নিউজিল্যান্ড এখন পর্যন্ত খেলেছে একটি মাত্র ম্যাচ। দুই দলই হেরেছে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। আজ এই দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে যে জিতবে পরের রাউন্ডের জন্য তারা অবশ্যই এগিয়ে থাকবে।
আফগানিস্তান যদি বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচ জিতে আর ভারত ও কিউইরা যদি তাদের বাকি থাকা চার ম্যাচের দুইটিতে জিতে তাহলে তিন দলেরই পয়েন্ট হয়ে যাবে ৬। সেক্ষেত্রে সেমিতে ওঠার ক্ষেত্রে নেট রান রেটের প্রভাব থাকবে গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণস্বরূপ, নিউজিল্যান্ড যদি ভারতকে পরাজিত করে আর আফগানিস্তানের কাছে হেরে যায়। আর আফগানিস্তান যদি ভারতের কাছে হারে। সেক্ষেত্রে, এই তিনটি দলই তিনটি করে জয়ে শেষ করবে এবং নেট রান রেট খেলায় আসবে।
কিন্তু সব সমীকরণই বৃথা হবে যদি স্কটল্যান্ড বা নামিবিয়া এই তিনটি দলের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিতে যায়।
তিনটি দলের জন্যই রোববার (৩১ অক্টোবর) গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ এদিন মাঠে নামছে নামিবিয়া-আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড-ভারত।
এছাড়া ৩ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর ম্যাচগুলোও সেমির জন্য সমান গুরুত্ব বহন করে।