জিতলেই দল পা রাখবে ফাইনালে এমন সমীকরণকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। মহা-গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে শক্তিশালী নেপালের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র করেছে ১০ জনের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে গোল করেন সুমন রেজা। আর নেপালের হয়ে গোল করেন অঞ্জন বিসটা।
বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায় শুরু হয় ম্যাচটি। মালদ্বীপের মালে স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৯ মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মাঠের বাঁপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের রাকিব। নেপালের ডিফেন্ডার তাকে ফাউল করলে ফ্রি কিকের বাঁশি বাজান রেফারি।
বরাবরের মতো ফ্রি কিক নিতে এগিয়ে আসেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তার এ ফ্রি কিক থেকে ডি বক্সে জটলার মধ্যে থেকে সুমন রেজার হেড খুঁজে পায় নিশানা। তার এ গোলেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ পর দলে সুযোগ পেয়েই পুরো দেশকে উচ্ছ্বাসে মাতান উত্তর বারিধারার সুমন।
এর কয়েক মিনিট পর সহজ সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে দুর্দান্ত কাউন্টার অ্যাটাকে কাপিয়ে দিচ্ছিল নেপালকে। প্রথমার্ধের বেশীরভাগ সময়ই বল পায়ে রেখে আক্রমণ শানাতে থাকে নেপাল। তবে গোল করতে ব্যর্থ হন তারাও। ফলে ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় জামাল ভূঁইয়ারা।
খেলার ৫৩ মিনিটে নেপালের হেড দুর্দান্ত ভাবে আটকিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকু। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন সুমন রেজা। ফিনিশিংয়ের অভাবে বারবার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করতে থাকে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে নেপালের দুর্দান্ত হেড আবারও ফিরিয়ে দেন গোলকিপার জিকু। বাংলাদেশ ম্যাচে টিকেছিল বলা যায় একমাত্র গোলকিপার জিকুর কারণেই। কিন্তু ম্যাচের ৭৯ মিনিটে ডি-বক্স থেকে বেরিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল হাতে লাগিয়ে ফেলেন তিনি। ফলে লাল কার্ড মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। জিকুর পরিবর্তে গোলবার সামলানোর দায়িত্ব পান আশরাফুল রানা।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন অঞ্জন বিসটা। ম্যাচে আর কোন গোল না হলে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এই ড্রয়ে সাফে বাংলাদেশের অপেক্ষা আরও বাড়ল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিল ২০০৩ সালে। আর সর্বশেষ ফাইনাল খেলেছে ২০০৫ সালে।