কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্মার্ট ইনডোর স্টেডিয়াম। বিশ্বমানের সব সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এখানে
সাগরিকায় বিশ্বমানের এই ইনডোরটি ঘুরে দেখেছে সংবাদ প্রকাশ। স্টেডিয়ামের তিন নম্বর গেট দিয়ে ঢুকলেই কয়েক গজ সামনে বা হাতে চোখে পড়বে সুদর্শন ইনডোরটি। যেখানে চারটি উইকেট রয়েছে। অনুশীলনের জায়গায় দুইটি টার্ফ ব্যবহার করা হয়েছে। যার একটি আনা হয়েছে ইংল্যান্ড থেকে ও আরেকটি আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া থেকে।
এছাড়া ক্রিকেটারদের জন্য রয়েছে গোসলের জন্য সবরকম সুবিধাসম্পন্ন বাথরুম, লকার রুম ও চেঞ্জিং রুম। এছাড়া আলাদা কনফারেন্সের রুমেরও সুবিধা পাওয়া যাবে এই ইনডোরে।
ইনডোরটির দৈর্ঘ্য ১৪২ ফুট আর প্রস্থ ৫৮ ফুট। ইনডোরটি তৈরিতে দুর্দান্ত কাজের দক্ষতা দেখিয়েছেন দায়িত্ব থাকা স্থাপত্যবিদরা। ইটের সাথে সিমেন্ট বালি নয় বরং ইস্পাতের শক্ত-মোটা খাম আর পুরু হিট প্রুফ কাঁচ দিয়ে বানানো হয়েছে ইনডোরের দেওয়াল।
এছাড়া মোটা সিমেন্ট শিট ব্যবহার করা হয়েছে ইনডোরের ছাদে । মূল ফটকের দিকটা উঁচুতে রেখে ছাদের সিমেন্ট শিটগুলোকে দারুণ মুন্সিয়ানা দেখিয়ে ঝিনুকের অবয়ব দিয়েছেন স্থাপত্যবিদরা
চারপাশ গ্লাসের দেওয়া আবদ্ধ ঝিনুকাকৃতির এই ইনডোরটি দেখলেই ক্রিকেটারদের মন ভালো হয়ে যাওয়ার কথা। এরপর তো সব সুযোগ-সুবিধা পেলে ক্রিকেটাররা মহা সন্তষ্ট হবেন এটা বলাই যায়।
তবে ইনডোরের দোতলায় দুইটি রুম ফাঁকা দেখে যোগাযোগ করা হয়েছিল সাগরিকার ভেন্যু ম্যানেজারের সঙ্গে। রুম ফাঁকা তাহলে কি ইনডোর এখনও শতভাগ প্রস্তুত নয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, উপরে রুম ফাঁকা থাকলেও ইনডোর অনুশীলনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
উপরে রুমগুলোতে কিছু ফার্নিচার নিতে হবে এবং বাকি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে শুধু সাজানোই বাকি। সেগুলো বিসিবি নিজেদের ইচ্ছামতো সময়ে সম্পন্ন করবে বলে জানিয়েছেন সাগরিকার এই ভেন্যু ম্যানেজার। তবে ক্রিকেটাররা চাইলে এখনই সেখানে অনুশীলন করতে পারবে বলে জানান তিনি।