ত্রিদেশীয় সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে নাজমুল হাসান শান্তর ডাক পাওয়াটা ছিল অবাক করা। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছেন। দলের ব্যর্থতার দিনে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন এই ব্যাটারই। টানা খারাপ ফর্মে থাকা শান্ত মোটেও আত্মবিশ্বাস হারাননি।
রোববার (৯ অক্টোবর) ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৩৩ রান। তার ব্যাটিং ও শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহানের ২৫ রানে ভর করে ১৩৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। যদিও এই লক্ষ্য সহজেই টপকে গেছে কিউইরা।
ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানান, তিনি মোটেও আত্মবিশ্বাস হারাননি। বলেন, “সত্যি কথা বলতে চাপে ছিলাম না। কারণ টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ, সিলেক্টর থেকে সবসময় পাশে ছিল। আর আমি আমার স্কিলের ওপর সবসময় বিশ্বাস করি। একটা খারাপ সময় গেছে, চেষ্টা করবো সামনে আরো সুযোগ পেলে ভালোভাবে কাজে লাগানোর।”
টপ অর্ডারে ব্যাটিং করবেন এমন ধারণা আগে থেকেই থাকায় সেই অনুযায়ী অনুশীলন করেছিলেন। সেই ফল কাজে লেগেছে বলেই মত তার। বলেন, “আমি যখনই সুযোগ পেয়েছি তখনই কোচ-সিলেক্টর সবার সাথে কথা হয়েছে। যদি সুযোগ পাই ওপরের দিকেই ব্যাটিং করবো এটা আমি অনেক আগে থেকেই জানি। সেই অনুযায়ী আমি যখন প্রাকটিস সেশন করেছি তখন নতুন বলের প্রিপারেশনই নিয়েছি।”
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য রান তুলতে বড় অন্তরায় হয়েছিল ধীরগতির আউটফিল্ড। হারের জন্য শিশিরের জন্য হওয়া ভেজা আউটফিল্ডকেই দায়ী করেছেন এই ওপেনার।
শান্ত যোগ করেন, “আমার মনে হয় মিডল অর্ডারে আমরা ব্যাক টু ব্যাক উইকেট দিয়েছি। সত্যি কথা বলতে ফাস্ট ইনিংসে উইকেট এত ইজিও ছিল না। এই জায়গায় আমরা আরেকটু স্মার্ট ক্রিকেট খেললে আরেকটু বড় স্কোর হতে পারতো, বাট মিডল ওভারে আরেকটু বেটার ব্যাটিং করতে পারতো।”