বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পাওয়ার পর বেশ কয়েকবারই কাতারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উঠেছিল নানা প্রশ্ন। অবশ্য কাতার সরকার বারবারই মানবাধিকার পরিস্থিতির এই প্রশ্ন এড়িয়েছে। তবে বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর আশা দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
চলতি বছরের ২০ নভেম্বর কাতারে বসবে এবারের বিশ্বকাপ আসর। টুর্নামেন্টের ছয় সপ্তাহ আগে কাতারের রাজধানী দোহাতে বসেছে ওয়ার্ল্ড ইনোভেশন সামিট ফর হেলত (ডাব্লিউআইএসএইচ)। সেখানে অংশ নিয়েছেন ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো।
সেখানে তিনি বলেন, “কাতার আস্তে আস্তে পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। শুধুমাত্র বিশ্বকাপ নয়, আন্তর্জাতিক মানচিত্রের কারণেও। দেশটির পরিস্থিতি সবকিছু আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে।”
পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বিশ্বকাপের পর কাতারের মানবিক সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তিনি বলেন, “আমরা শ্রমিক ও তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলি। শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে অনেক কথা উঠেছিল। আস্তে আস্তে অনেক কিছু পরিবর্তন হচ্ছে বলে হয় আমার।”
মানবাধিকার সংগঠনগুলো শ্রম অধিকার নিয়ে কথা বললেও বিভিন্ন দেশের ফুটবল সংস্থাগুলো কিছুদিন আগ পর্যন্তও নীরব ছিল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এই নিয়ে অভিযোগ জানায় ইংল্যান্ডের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএ। এছাড়াও ডেনমার্ক ফুটবলও এই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে তৈরি করেছে নিজেদের থার্ড কিট।