ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল সফরকারী বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ম্যাচে ২১ রানের জয় পায় পাকিস্তান।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুতে পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান চমৎকার খেলা উপহার দিতে থাকেন। তাদের জুটি ভাঙ্গে দলীয় ৫২ রানে। বাবর ব্যক্তিগত ২২ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে আউট হন।
রিজওয়ান এরপর জুটি বাঁধেন শান মাসুদের সাথে। দলীয় ৯৪ রানে শান আউট হলে তাদের জুটির বিচ্ছেদ ঘটে। তিনি ৩১ রানে আউট হন। পরের ব্যাটারদের কেউই ভালো ইনিংস উপহার দিতে না পারলেও রিজওয়ান একাই দলকে ভালো স্কোরের দিকে পৌঁছে দেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৭৮ রান। এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
পাকিস্তানের ইনিংস থামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে।
বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ দুইটি উইকেট পান। মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মেহেদি মিরাজ ব্যক্তিগত ১০ রানে আউট হন। দলের সাথে আর মাত্র ১২ রান যোগ হতেই দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা সাব্বির রহমান ১৪ রানে ফেরেন।
লিটন দাস ও আফিফ হোসেন ধ্রুব জুটি দলের হাল ধরেন। তবে দলের ৮৭ রানে লিটন ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ফিরলে আফিফও তার ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। দলের ৯৯ রানে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করা আফিফ ২৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন। দুই রানের ব্যবধানে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা নুরুল হাসান সোহান ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান।
শেষদিকের বাকি ব্যাটারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় একমাত্র ইয়াসির আলি পাকিস্তানি ব্যাটারদের বিপক্ষে মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন। তবে তার ইনিংসটি দলের পরাজয়ের ব্যবধানই কেবল কমাতে পারে। ইয়াসির ২১ বলে অপরাজিত ৪২* রান করেন।
বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৪৬ রানে। পাকিস্তান জয় পায় ২১ রানে। পরের ম্যাচে ৯ তারিখ একই মাঠে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।