টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টানা ব্যর্থতার মিশনে নাম লেখানো বাংলাদেশের এখন ‘মূলমন্ত্র’ পরিবর্তনের হাওয়ায় ‘এগিয়ে চলা’। কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো নেই, কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামেই ভরসা। এমন তথৈবচ পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তানের সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিবে। পরখ করবে নিজেদের শক্তিমত্তার জায়গা।
ত্রিদেশীয় সিরিজে অন্তত চারটি ম্যাচ খেলার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। মূলত ডাবল রবিন রাউন্ড পদ্ধতি হওয়ায় বিশ্বকাপের আগে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চার ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
তাসমান পাড়ের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সুযোগ বুঝে কোপ মেরে তাই তাসমান পাড়ের আরেক দেশ নিউজিল্যান্ডে নিজেদের শেষ প্রস্তুতিটা নিচ্ছে টাইগাররা। অবশ্য এটা ঠিক প্রস্তুতি বলা যায় কি-না তা নিয়ে একটু প্রশ্নের জায়গা থেকেই যায়। টানা ব্যর্থতার বৃত্তে থাকায় নিশ্চিতভাবেই ভঙ্গুর অবস্থায় বাংলাদেশ দল। তার উপর নতুনদের নিয়ে একের পর এক পরীক্ষা নিরীক্ষার চিন্তা দলের। তাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠে দলের অবস্থা।
নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে অবশ্য দলের ভেতরেও কোনো স্বস্তি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রথম ম্যাচের ১২ ঘণ্টারও একটু সময় আগে যোগ দিয়েছেন দলের সাথে। পেস বোলিং কন্ডিশনে খেললেও সেখানে নেই কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। মোস্তাফিজুর রহমান-তাসকিন আহমেদরা তাই গুরুর পরামর্শ ছাড়াই নামবেন প্রথম ম্যাচ খেলতে।
শুধু তাই নয়, ওপেনিং জুটি কিংবা ব্যাটিং অর্ডার কি হবে, বিশ্বকাপের আগে ১০ দিন সময় না থাকলেও সেটাই এখন চিন্তার জায়গা বাংলাদেশের। মেক শিফট নাকি স্থায়ী ওপেনারেই ভরসা রাখবে তা নিশ্চিত নয়।
অবশ্য মেক শিফট যে এই প্রতিযোগীতায় এগিয়ে তা বুঝতে বিশারদ হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, স্কোয়াডে মাত্র দুইজন ওপেনার রেখেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে একজন আবার ফর্মের ধারের কাছেও নেই। কয়েকবছর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্মেন্সের জেরেই জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বকাপ আর ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াডে।
ভঙ্গুর বাংলাদেশ যখন নিজেদের গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত ওই সময় বিপরীত চিত্র প্রতিপক্ষ শিবিরে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিশ্চিতভাবেই বেশ নির্ভার পাকিস্তান।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যারাথন এক সিরিজ খেলে তাসমান পাড়ের দেশটিতে গিয়েছে। ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ হারলেও শেষ পর্যন্ত উত্তেজনার পারদ ছড়িয়েছে দুই দল। তাই আত্মবিশ্বাসের দিকে কিছুটা হলেও উপরের দিকে আছে পাকিস্তান।
স্বাভাবিকভাবে তাই পাকিস্তানকেই এগিয়ে রাখতে হবে প্রথম ম্যাচে। ফেবারিট কিংবা আন্ডারডগ ভাবনা দূরে সরালে দিনশেষে সেরা খেলা দলটিই পড়বে বিজয়মাল্য। সমর্থক হিসেবে চাওয়া সাকিবের দলই জিতুক। তবে বাস্তবতার খাতিরে তা কতটা কঠিন সেটা বুঝতে আর যাই হোক, হতে হবে না খুব বড় ক্রিকেট বিশ্লেষক।