কিছুদিন আগেই কোচ জর্জ ভিলদার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ তুলেছিল স্পেন নারী ফুটবল দলের ১৫ ফুটবলার। কোচের বিদায় ঘণ্টা না বাজালে জাতীয় দলের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত ফুটবল ফেডারেশনকে জানিয়ে দেন। ফুটবলারদের সেই সিদ্ধান্তে কোচকে বরখাস্ত করেননি, বরং বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের ছাড়াই মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন কোচ ভিলদা।
ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নষ্ট করা, নিজের ইচ্ছামতো স্কোয়াড বাছাই ও ফুটবলারদের খারাপ সম্পর্কের অভিযো তুলে ভিলদাকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিল স্পেনের নারী ফুটবলাররা। সেই সময় খেলোয়াড়রা জানিয়েছিলেন, তাদের দাবি না মানলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলবেন না।
খেলোয়াড়দের সেই দাবির বিপরীতে স্পেন ফুটবল ফেডারেশন বলেছিল, খেলোয়াড়দের দাবির পরিপেক্ষিতে কাউকে সরানো হবে না। এমনকি তাদের কেউই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার যোগ্য না। উল্টো ফুটবলারদের জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাবে না বলেও জানিয়েছিল।
ঘটেছেও তাই, নারী ফুটবলের আসন্ন আন্তর্জাতিক উইন্ডোতে বিদ্রোহী কোনো ফুটবলারকেই দলে রাখেননি স্পেন কোচ জর্জ ভিলদা। শুধু তা-ই নয়, বিদ্রোহে সমর্থন থাকতে এমন ভাবনা থেকে আরও দুজনকে দলে রাখেননি এই কোচ।
প্রথম সারির দল ছাড়াই নেশন্স লিগের ম্যাচ খেলতে নামলেও এই নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই কোচ ভিলদার। বরং, নতুন দল নিয়েই ভালো করতে আশাবাদী এই কোচ। সিনিয়রদের দলে ভেড়াতে পদত্যাগ করতেও চান না এই কোচ। ২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় ফিফা নারী ফুটবল বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে আগ্রহী তিনি।