শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। সেই অনুষ্ঠানে নারী ফুটবলারদের যখন সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছিল ঠিক ওই সময়ে বাইরে দাঁড়িয়েছিল বাফুফের একটি বাস। সেই বাসে করেই সংবর্ধনা নিতে বাফুফে থেকে এসেছিল নারী ফুটবলাররা। স্বাভাবিকভাবেই ওই বাসের দিকেও একটু নজর ছিল সবার। তবে বাস দেখে যারপরনাই হতাশ উপস্থিত সমর্থকদের অনেকেই।
সম্প্রতিই এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের মাধ্যমে উয়েফার কাছ থেকে বাস উপহার পেয়েছিল দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফে। নতুন সেই বাসে করেই শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সংবর্ধনা নিতে আসে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
অনুষ্ঠানস্থলে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটলেও সেখানে নিরাপত্তার ব্যাপক ঘাটতি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিল না পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যরা। বিষয়টি সবাইকে অবাক করেছে। শুধু তাই নয়, নারী ফুটবলারদের যে বাসে নিয়ে আসা হয়েছে তা দেখেও হতাশ হয়েছেন সমর্থকরা।
এমনই এক সমর্থক শহীদ মিনারে কথা বলেন সংবাদ প্রকাশের সাথে। তিনি বলেন, “মেয়েদেরে নন এসি বাসে না এনে এসি বাসে আনতে পারত। ক্রিকেটাররা যখন হোটেল থেকে মাঠে কিংবা অন্য কোথাও যায় তারা তো এসি বাসে যায়।”
শুধু বাস নয়, নিরাপত্তা নিয়েও হতাশা জানান ওই সমর্থক। তিনি বলেন, “ক্রিকেটাররা এলে নিশ্চয় পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হতো। কিন্তু ওদের জন্য কিন্তু পুরো এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশও নাই। কোনো কিছু ঘটলে তার দায়ভার কে নেবে?”
অবশ্য এসি বাস না পাওয়া কিংবা নিরাপত্তা, কোনোটি নিয়েই সাবিনা-সানজিদাদের মধ্যে কোনো আক্ষেপ দেখা যায়নি। বরং, হাসিমুখেই নিয়েছে সংবর্ধনা। বাসে উঠেও নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতে ব্যস্ত ছিলেন ফুটবলাররা।
বাসে উঠে খুনসুটির সময়ও সমর্থকদের কাছ থেকে রেহাই মেলেনি সাবিনা-সানজিদাদের। বাস রাস্তায় থাকাকালীন বেশিরভাগ সমর্থকই ফুটবলারদের কাছে সেলফি তোলার আবদার করেছিলেন। সমর্থকদের সেই আবদার হাসিমুখেই পূরণ করেছেন সাবিনারা। অনুষ্ঠান শেষে বাসে বসেই সমর্থকদের সাথে সেলফি তুলে কাটিয়েছেন ওই সময়টুকু।
তাদের সেই হাসিই প্রমাণ করে দেয়, তাদের এই সাফ জয় পুরো দেশের মানুষকে এনেছে এক কাতারে। তারা এখন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। দেশের মানুষের এই আনন্দই তাদেরকে সাফল্যের এভারেস্ট বইতে সাহায্য করবে।