ঘরোয়া ফুটবলের সর্বশেষ মৌসুমে সব সময় আলোচনায় ছিল রেফারিং। রেফারির বাজে সিদ্ধান্তের পাশাপাশি তাদের পারিশ্রমিক নিয়েও উঠেছিল আলোচনা। এর মধ্যেই নতুন মৌসুমের জন্য রেফারির তালিকা ফিফায় পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে এবার রেফারির কোটা পূরণ করতে পারেনি।
আসন্ন ফুটবল মৌসুমের জন্য দুজন রেফারি ও একজন সহকারী রেফারির কোটা পূরণ হয়নি। রেফারি হিসেবে এই মৌসুমের জন্য তিনজন রেফারি ও ছয়জন সহকারী রেফারির নাম পাঠিয়েছে বাফুফে। বাফুফের জন্য ফিফা থেকে পাঁচজন রেফারি ও সাত সহকারী রেফারির কোটা রয়েছে।
ফিফা রেফারি নিয়োগের জন্য দুই দফা ফিটনেস টেস্ট নেয় বাফুফে। প্রথম দফায় একজন রেফারি ও তিনজন সহকারী রেফারি এই ফিটনেস টেস্ট পাস করায় দ্বিতীয় দফায় আবারও পরীক্ষা নেয় বাফুফে।
সেখানে একজন রেফারি ও তিনজন সহকারী রেফারি ফিটনেস টেস্টে পাস করলে তাদের নাম ফিফায় পাঠায় বাফুফে। আগে ফিটনেস টেস্ট পাস না করলেও রেফারিদের নাম ফিফায় পাঠাত। তবে বাফুফে এবার সেই পথে হাঁটেনি।
বাফুফের ফিটনেস টেস্টে অংশ নিতে পারেননি সর্বশেষ মৌসুমে দারুণ রেফারিং করা সাইমুম সানি। মূলত রেফারিদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ায় তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাফুফে। শুধু সাইমুম সানি নন, নিষেধাজ্ঞায় আছে আরও পাঁচজন। তারা কেউই ফিটনেস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
পুরুষ রেফারিদের কোটা পূরণ না হলেও নারীদের কোটা পূর্ণ করতে পেরেছে বাফুফে। সর্বশেষ মৌসুমের মতো এবারো ফিটনেস টেস্ট পাস করেছেন জয়া চাকমা ও সালমা আক্তার মনি। ফলে এই মৌসুমেও তারা ফিফা রেফারির ব্যাজ পাবেন।
২০২৩ সালের জন্য ফিফা রেফারি ও সহকারী রেফারির তালিকা
রেফারি-আলমগীর, নাসির, জসিম আক্তার, জয়া চাকমা (নারী)
সহকারী রেফারি-মনির ঢালী, নুরুজ্জামান, সুজয় বড়ুয়া, জুনায়েদ শিশির, রাসেল মাহমুদ জীবন, বিকাশ সরকার, সালমা আক্তার মনি (নারী)