বিশ্বকাপের আগে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশের দলের ক্যাম্প হয়েছে দুবাইয়ে। ওই ক্যাম্পের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে নেমেছে নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয় পেতে বেশ ঘাম ঝড়াতে হয়েছে টাইগারদের। শেষ ওভারে এসে নির্ধারিত হয়েছে জয়-পরাজয়। এই ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ৭ রানের।
রোববার (২৫ আগস্ট) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নিয়মিত ওপেনার লিটন দাসকে বসিয়ে এইদিন ইনিংস উদ্বোধনে নামেন দুই মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। দুইজনের কেউই দিতে পারেননি আস্থার প্রতিদান। সাব্বির রানের খাতার খোলার আগেই ফেরেন। মেহেদি মিরাজ ১৪ বলে ১২ রানে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
সদ্যই ইনজুরিমুক্ত হওয়া লিটন এদিন শুরুটা দারুণ করলেও তা ধরে রাখতে পারেননি। ৮ বলে ১৩ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার। ইয়াসির আলি রাব্বি ফিরেছেন ৭ বলে ৪ রান করে।
৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের হাল ধরেন চারে নামা আফিফ হোসেন্ ধ্রুব। তার ক্যারিয়ার সেরা ৭৭ রানে বাংলাদেশ দেড়শ পার করতে পারে। শেষ পর্যন্ত আফিফের ওই রানে ভর করেই বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৮ রান।
১৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আরব আমিরাত ছিল ভয়ডরহীন। ছয় ওভার পার না হতেই তাদের রান পার করে ৫০ এর কোটা। ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম দলীয় ২৭ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন। দ্বিতীয় উইকেট নিতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ৮ম ওভার পর্যন্ত।
মেহেদি হাসান মিরাজের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন চিরাগ সুরি। তার বিদায়ের পরই যাওয়া আসার মিছিলে যোগ দেন আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। অবশ্য এর মধ্যেও ব্যতিক্রম ছিলেন অভিষিক্ত আয়ান আফজাল খান। ১৭ বলে ২৫ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ানোর আভাস দিয়েছিলেন।
আয়ান আফজাল খান ছাড়াও শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন কার্তিক মেয়াপ্পান ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। মূলত অভিজ্ঞতার অভাবেই জয়ের বন্দরে ভেড়ার আভাস দিয়েও ব্যর্থ হয়েছে আরব আমিরাত।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমান শিকার করেন দুই উইকেট। বাকি দুইটি ছিল রান আউট।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুই দল মুখোমুখি হবে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট)।