ছয় বছরের আগে ৩-১ ব্যবধানে হেরে স্বপ্ন ভেঙেছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলতে নেমে একই ফলাফল দেখলো বাংলাদেশ। তবে তিন গোল হজম নয়, এবার প্রতিপক্ষের জালে ঢুকিয়েছে তিন গোল। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ৩-১ গোলে।
শেষ কবে বাংলাদেশের ফুটবলে হয়েছিল জয়োল্লাস? সেই পুরোনো স্মৃতি মনে করতে হলে ফিরে যেতে হবে সেই ২০০৩ সালে। দীর্ঘ ১৯ বছর পর আবারো বড় শিরোপা জয়ের উল্লাসে ভেসেছে বাংলাদেশ। কারণ, বাংলাদেশের মেয়েরা জিতেছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ম্যাচের শুরু থেকেই নেপালের উপর আধিপত্য বাংলাদেশের। ম্যাচের চার মিনিটের মাথায় ইনজুরি আক্রান্ত সিরাত জাহান স্বপ্নাকে তুলে নিতে বাধ্য হন কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটন। এর পাঁচ মিনিট পরেই বদলি হিসেবে নামা শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন কৃষ্ণা রানী সরকার।
২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা আগায়। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অনিতা বাসনেটের গোলে ব্যবধান কমায় নেপাল। তবে তা নেপালের জয়ের জন্য মোটেও যথেষ্ট ছিল না। গোল করে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া নেপাল যখন আরো একটি গোলে মরিয়া সেই সময় আবারো গোল বাংলাদেশের।
এবার নেপালের কফিনে শেষ পেরেক ঢুকে দেয় বাংলাদেশ। এবারো স্কোরশিটে নাম তোলেন কৃষ্ণা রাণী সরকার। তার জোড়া গোলেই টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ মানেই ভারতীয়দের জয়জয়কার। প্রথম পাঁচ আসরের প্রত্যেকটিতেই চ্যাম্পিয়ন তারা। ৬ষ্ঠ আসরে এসে ভেঙেছে সেই ধারা। ভারত উঠতে পারেনি ফাইনালে। সেমি-ফাইনালেই বিদায় বেজেছে তাদের বিদায় ঘণ্টা।
তাই নতুন চ্যাম্পিয়ন পাওয়া যাবে সেটা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। আর সেটা হলো বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের কাছে ভেঙেছিল বাংলাদেশের স্বপ্ন। এই নিয়ে ছয় আসরের পাঁচবারই ভাঙলো নেপালের স্বপ্ন।
নেপালের বিপক্ষে নারী ফুটবলে কখনই জয়ের স্বাদ না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ৮ ম্যাচে ৬ হার ও ২ ড্রয়ের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশ এবার জিতেছে। শুধু ম্যাচ জেতেনি নিজেদের করে নিয়েছে সাফের শিরোপা। প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।