বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে জানিয়েছেন তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন। এবার জাতীয় দলের হয়ে সাদা জার্সিকে বিদায় বললে আনুষ্ঠানিকভাবে।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে রুবেল জানান, তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠির মাধ্যমে টেস্ট থেকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
টেস্ট থেকে বিদায় নিলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্যারিয়ার দীর্ঘ করায় মনোযোগ দেবেন দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই পেসার।
রুবেল তার ফেসবুক বার্তায় লেখেন, “তরুণ ক্রিকেটারদেরকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশের হয়ে ২৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। যা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম অর্জন। আমি বিশ্বাস করি, লাল বলের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের এই পথচলায় আমাকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আপনাদের পাশে পাবো।”
তিনি আরো বলেন, “টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েছি। তবে, ওয়ানডে এবং টি২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে আমার আরো কিছু দেয়ার মত সামর্থ্য আছে। তাই ডিপিএল, বিপিএলসহ অন্যান্য সাদা বলের টুর্নামেন্টে আমি নিয়মিত খেলা চালিয়ে যাবো।”
রুবেলের টেস্ট ফরম্যাটে অভিষেক ঘটে ২০০৯ সালের জুলাই মাসে। বিদেশের মাটিতে অভিষেক ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ ৯৫ রানের বড় জয় পায়। বল হাতে রুবেল ৭৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেটও দখল করেছিলেন। অভিষেক ম্যাচের সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। দ্রুতই হারিয়েছেন তার ছন্দ।
ফলে টেস্ট দল কখনই নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি রুবেল। ১৩ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে রুবেল ২৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তার উইকেট সংখ্যা কেবল ৩৬টি। বোলিং গড় ৭৬.৭৭।
লাল বলে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় কিংবা লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেটেও গড়পড়তা মানের একজন রুবেল হোসেন। চোট ও ফর্মহীনতায় প্রায় সময় লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেটে বাইরে ছিলেন এই পেসার। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৬০ ম্যাচে তার শিকার ৯৭ উইকেট। এখানে তার বোলিং গড় ৫৪.০৩।