চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে বসবে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ। তীব্র গরমের কারণে জুন-জুলাই নয়, নভেম্বর-ডিসেম্বরে হবে মধ্যপ্রাচ্যে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের ১০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে লুসাইল স্টেডিয়ামে। ফাইনালের ভেন্যুও কাতারের সবচেয়ে বড় এই স্টেডিয়াম।
নবনির্মিত লুসাইল স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী দিনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শিকার হয়েছে খেলা উপভোগ করতে আসা দর্শকরা। গত শুক্রবার লুসাইল সুপার কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ও মিশরের ক্লাব জামালেক।
এই ম্যাচ দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিল ৭৮ হাজার দর্শক। এদিন মাঠে ম্যাচ উপভোগ করতে আসা দর্শকরা ভুগেছেন পানি শূন্যতায়। এছাড়াও অতিরিক্ত গরমের মুখোমুখিও হতে হয়েছে তাদেরকে।
ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই মাঠে থাকা সব পানি শেষ হয়ে যায়। এছাড়াও পর্যাপ্ত টয়লেটের অভাবেও ভুগেছে দর্শকরা। মাঠে ঠিকমতো কাজ করেনি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র। ফলে দর্শকদের অতিরিক্ত গরমের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
কথা ছিল, লুসাইল স্টেডিয়াম থেকে দর্শকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য থাকবে পর্যাপ্ত শাটল সার্ভিস। লুসাইল সুপার কাপের ম্যাচ শেষে সেই সুবিধা পাননি দর্শকরা। ফলে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৪৫ মিনিট হেঁটে নির্ধারিত বাসস্টপে যেতে হয়েছে।
এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি। তারা জানিয়েছে, “অংশগ্রহণকারী সব দলের প্রতিনিধিরা থাকবে টুর্নামেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটিতে। তাদের পরামর্শে মাঠের সবকিছু ঠিক করা হবে। আশা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপে এই ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দিবে না।”
কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে নতুন করে তৈরি করা ও পুরাতন ভেন্যুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম এই লুসাইল স্টেডিয়াম। টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠেই। এই মাঠের দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ৮০ হাজার।