এশিয়া কাপের ফাইনালে ‘বড় ভূমিকা’ রাখবে টস ভাগ্য। ফাইনালের আগে এমন কথাই বারবার বলা হচ্ছিলো। সেই টস ভাগ্য নিজের করে নিয়েও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলকে জেতাতে পারেননি বাবর আজম। এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৩ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের ১৫তম আসরে ৬ষ্ঠ বারের মতো শিরোপা জিতলো দাসুন শানাকার দল।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। সেই সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে সময় নেননি পাকিস্তানি বোলাররা। পাকিস্তানি বোলারদের সেই তোপ সামলে শেষ পর্যন্ত ১৭০ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
১৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুর ওভারেই অতিরিক্ত ৯ রান দেন দিলশান মাদুশঙ্কা। সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে খুব একটা সময় নেয়নি শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের চতুর্থ প্রতিপক্ষ অধিনায়ক বাবরকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান প্রমোদ মাদুশানে। পরের বলেই ফখর জামান বোল্ড হয়ে ফেরেন।
২২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তানকে তীরে তোলার দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দায়িত্ব নিয়ে নিজের অর্ধশতক পূরণ করলেও তা দলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। এশিয়া কাপের ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে রিজওয়ানের ৪৭ বলে অর্ধশতক করাটা পাকিস্তানকে ডুবিয়েছে।
রিজওয়ান এক প্রান্ত আগলে রাখলে অপরপ্রান্তে ইফতিখার আহমেদ চেষ্টা করছিলেন বল-রানের ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে। তবে রিজওয়ানের ধীরগতির ব্যাটিং বারবার আস্কিং রেট বাড়িয়ে দিচ্ছিলো বারবার।
ইফতিখারের বিদায়ের পর মোহাম্মদ নাওয়াজ, খুশদিল শাহ কিংবা আসিফ আলিরা যোগ দিয়েছিলেন যাওয়া আসার মিছিলে। মিছিলে ছিল শাদাব খান-নাসিম শাহদের নামও। শেষ পর্যন্ত ১৪৭ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। তাতেই এশিয়া কাপের তৃতীয় শিরোপা হাতছোঁয়া দূরত্বে রেখেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রমোদ মাদুশানে শিকার করেন ৪ উইকেট। এছাড়াও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা শিকার করেন ৩ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ৫৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে শ্রীলঙ্কার ত্রাণকর্তা হয়ে দাঁড়ান ভানুকা রাজাপাকসে। তার ৪৫ বলে ৭১ রান ও হাসারাঙ্গার ২১ বলে ৩৬ রানে ভর করে ১৭০ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিলো একপেশেভাবে ম্যাচটা জিতে যাবে পাকিস্তান। সেটি হয়নি, বরং উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেও একরকম প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছাড়াই ম্যাচ পকেটে পুরেছে শ্রীলঙ্কা।