চ্যাম্পিয়নশিপে দল উত্তর বারিধারা ক্লাবের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই ধাপ নামিয়ে তাদেরকে দ্বিতীয় বিভাগে খেলার রায় দিয়েছে। মূলত এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) এই দুই ম্যাচ বাফুফের নজরে এনেছিল।
বাংলাদেশ ফুটবলে ফিক্সিংয়ের কালো থাবা বেশ পুরোনো। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে আজমপুর ক্লাবের বিপক্ষে বেশ কয়েকবার ফিক্সিংয়ের অভিযোগ হয়। এমনকি গণমাধ্যমেও বিষয়গুলো উঠে আসে।
গণমাধ্যমে বিষয়গুলো উঠে এলেও ফিক্সিংয়ের কোনো প্রমাণ পায়নি বাফুফে। সে কারণে ক্লাবটির কিংবা দলে খেলা কোনো ফুটবলারের বিপক্ষে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি বাফুফে।
এএফসি নজরে আনার পর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে দুই ধাপ নামিয়ে দেওয়া হয় উত্তর বারিধারা ক্লাবকে। তবে ক্লাবটির অভিযোগ তাদেরকে বিষয়টি নিয়ে সঠিকভাবে জানায়নি বাফুফে।
বাফুফে জানিয়েছে, উত্তর বারিধারার সাথে আবাহনী ও শেখ জামালের ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আছে। ওই দুই ম্যাচে কোন জায়গায় ফিক্সিং হয়েছে তা বাফুফে ক্লাবটিকে জানায়নি বলে অভিযোগ উত্তর বারিধারা ক্লাবের। তাই তারা বাফুফের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমাদের ক্লাবের কোনো কর্মকর্তা বা ক্লাব কোনো অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত নয় এবং শাস্তিও পায়নি তাহলে ক্লাবকে কেন শাস্তি পোহাতে হবে। ক্লাব এর সঙ্গে সম্পৃক্তও নয়। তাই আমরা বাফুফের আপিল কমিটির কাছে আবেদন জানাব আমাদের চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেই খেলার অনুমতি দেয়ার জন্য।”
সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে লিগ শেষ করে উত্তর বারিধারা ক্লাব। ফলে তারা অবনমিত হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে নেমে এসেছে। ফিক্সিংয়ের অভিযোগ সেখান থেকে আরো দুই ধাপ নিচে নামিয়ে দিয়েছে বাফুফে। বর্তমানে তাদেরকে দ্বিতীয় বিভাগে খেলতে বলেছে বাংলাদেশ ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।