গত এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল সফরকারী নেদারল্যান্ডস। সেই সিরিজে ডাচ দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন বাঁহাতি লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার মাইকেল রিপন। দল সিরিজ হারলেও রিপন তিন ম্যাচে ১০৯ রানের পাশাপাশি শিকার করেছিলেন তিন উইকেট।
এবার মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে সেই রিপনকেই নিজেদের দলে টেনে নিলো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। শুধু তাই নয়, আসন্ন আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও সুযোগ দেওয়া হয়েছে প্রতিভাবান এই ক্রিকেটারদে। ফলে কিউয়িদের জার্সিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবেন ৩০ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার।
আসন্ন সিরিজে যদি এই অলরাউন্ডারের অভিষেক হয়, তবে ইতিহাস গড়বেন তিনি। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথম বাঁহাতি লেগস্পিনার হয়ে যাবেন তিনি। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে কখনও কোনো বাঁহাতি লেগস্পিনার খেলায়নি কিউইরা।
সবমিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, এজাজ প্যাটেল, মিচেল স্যান্টনারসহ ৩২ জন বাঁহাতি স্পিনার খেলেছেন। তবে তাদের মধ্যে কেউই বাঁহাতি লেগস্পিনার ছিলেন না। তারা সবাই ছিলেন অর্থোডক্স।
এর আগে ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ড থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন রিপন। সে বছরই নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় তার। ডাচদের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৮ ওয়ানডে ও ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তবে এবার রিপনের ক্যারিয়ার রচিত হবে নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে।
আইসিসির নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে, সহযোগী সদস্য দেশ থেকে যেকোনো খেলোয়াড় পূর্ণ সদস্য দেশে খেলতে পারবে। তবে পূর্ণ সদস্য দেশের হয়ে খেলার পর আবার সহযোগী সদস্য দেশে ফিরতে চাইলে তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। এ নিয়মটিই কাজে লাগিয়েছে কিউইরা।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হলে অধিনায়ক হিসেবে মিচেল স্যান্টনারকে পাবেন রিপন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অধিনায়কত্ব করবেন টম লাথাম। সেই সিরিজের দলে রাখা হয়নি রিপনকে। এরপর স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দায়িত্ব নেবেন স্যান্টনার।
আগামী মাসের শুরুতেই বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে খেলবে কিউইরা। এরপর এডনিবরায় গিয়ে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে রয়েছে দুই টি-টোয়েন্টি ও একটি ওয়ানডে খেলবে তারা। সবশেষ আমস্টারডামে গিয়ে ডাচদের বিপক্ষে দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে কিউইদের।
নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে স্কোয়াড: টম লাথাম (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), ফিন অ্যালেন, মাইকেল ব্রেসওয়েল, ড্যান ক্লেভার, জ্যাকব ডাফি, লকি ফার্গুসন, মার্টিন গাপটিল, ম্যাট হেনরি, অ্যাডাম মিলনে, হেনরি নিকোলস, গ্লেন ফিলিপস, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, ব্লেয়ার টিকনার ও উইল ইয়ং।
নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড: মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, ড্যান ক্লেভার, লকি ফার্গুসন, মার্টিন গাপটীল, অ্যাডাম মিলনে, ড্যারেল মিচেল, জিমিস নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল রিপন, বেন সিয়ারস, ইশ সোধি ও ব্লেয়ার টিকনার।