ক্রোয়েশিয়ার শহর স্প্লিতে নেশন্স লিগে মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট দুই দল স্বাগতিক ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স। সোমবার রাতের ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। আদ্রিওঁ রাবিওর গোলে ফ্রান্স এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন আন্দ্রেই ক্রামারিচ।
ডেনমার্কের বিপক্ষে এর আগের ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে যাওয়ায় ১০টি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ফরাসিরা। আগের ম্যাচে অস্ট্রিয়ার কাছে ক্রোয়েটরাও হেরেছিল ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে। তারাও নেমেছিল ৬ পরিবর্তন নিয়ে। তাতে অবশ্য খেলার ধরনও পাল্টে যায়।
দুই পক্ষ আক্রমণে গেলেও তেমন ধার ছিল না। ম্যাচের ১৮ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ হারায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ফ্রান্সের ভালো একটি আক্রমণও প্রতিহত করে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৫২ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেন উইসাম বেন ইয়েদের। বল পান রাবিও। প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন জুভেন্টাসের এই মিডফিল্ডার।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে সফল স্পট কিকে সমতা টানেন আন্দ্রেই ক্রামারিচ। দলের এই ফরোয়ার্ড নিজেই ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন। রেফারি ভিএআরে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেয়। ক্রামারিচ সহজেই ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে গোল আদায় করেন। ম্যাচে আর কোনো গোল না হলে ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি।