ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে লাতিন আমেরিকার অন্যতম পরাশক্তি ব্রাজিল ৫-১ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে এশিয়ান জায়ান্ট দক্ষিণ কোরিয়াকে। ম্যাচে পিএসজির ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়রের জোড়া গোলের সঙ্গে রিচার্লিসন, ফিলিপে কৌতিনহো ও গ্যাব্রিয়েল জেসুসের একটিতে স্বাগতিকদের জালে রীতিমত গোলবন্যা বইয়ে দিয়েছে সেলেসাওরা।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যায় ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ম্যাচের ৭ম মিনিটে ফ্রেডের কাছ থেকে বল পেয়ে খুব কাছ থেকে ডান পায়ের দারুণ এক শটে স্বাগতিকদের জালে বল জড়ান রিচার্লিসন।
তবে ঘরের ম্যাঠে উজ্জীবিত দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তিতের দল। ম্যাচের ৩১তম মিনিটে ব্রাজিলের ডি বক্সে বাম প্রান্ত থেকে দারুণ এক শটে ব্রাজিল গোলরক্ষক ওয়েভার্টনকে পরাস্ত করেন হাং উই জু। ফলে শুরুতেই গোল হজম করা স্বাগতিকরা ১-১ গোলে সমতায় ফেরে।
এরপর ম্যাচের বাকি সময় দক্ষিণ কোরিয়ার জালে আরও এক হালি গোল দিয়ে বিশ্বকাপে হেক্সা মিশনের আগে সব আলো নিজেদের করে নিয়েছে ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডরা। ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে নিজেদের ডি বক্সের মধ্যে আলেক্স সান্দোকে বাজেভাবে ফাউল করেন কোরিয়ান ডিফেন্ডার লি ইয়ং। রেফারি খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিএআর দেখেন রেফারি।
ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে ৪২তম মিনিটে স্পট কিক থেকে নেইমার গোলে করে দলকে আবারও লিড এনে দেন। তবে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে আরও একটি গোল পেতে পারত ব্রাজিল। নেইমারের নেয়া কর্ণার কিক থেকে ভেসে আসা বল থিয়াগো সিলভা হেড করলে পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পরে সেই বল ক্যাসেমিরো পেলেও গোলবারের উপর দিয়ে মেরে দেন। ফলে ২-১ গোলের ব্যবধানে বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
৫৭ তম মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। এবারও স্পট কিক নেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। সেখান থেকে নিজের জোড়া ও দলকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন। এরপর কোচ তিতে বাকিদের সুযোগ দিতে ৭৮তম মিনিটে নেইমারের পরিবর্তে কৌতিনহোকে মাঠে নামান তিতে। মাঠে নেমেই ৮০তম মিনিটে কৌতিনহো নিজের প্রথম ও দলের চতুর্থ গোল করেন। আর অতিরিক্ত সময় ও ম্যাচ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে পঞ্চম ও শেষ গোলটি করেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস।
আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ হলেও দলটার নাম যেহেতু ব্রাজিল, সে কারণে ম্যাচটাও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সমর্থকদের কাছে। বিশ্বকাপের আগে নেইমাররাও সমর্থকদের হতাশ করেননি।