লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ফিনালিসিমা নামের আলোচিত ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। এক বছরের মধ্যে এটি আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় শিরোপা। প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে নেন যথাক্রমে লাউতারো মার্টিনেজ ও আনহেল ডি মারিয়া। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে বদলি নেমে তৃতীয় গোলটি করেন পাওলো দিবালা।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় আর্জেন্টিনা। গত বছর এই মাঠেই ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাপট দেখায় ইতালি। তবে আর্জেন্টিনার সামনে ছিল তাদের অসহায় আত্মসমর্পণ। গত বছর জুলাইয়ে ব্রাজিলের মাঠে কোপা আমেরিকায় ১-০ জেতা আর্জেন্টিনা তাদের পূর্ণ আধিপত্য ধরে রাখে।
লিওনেল মেসি, ডি পল, ডি মারিয়া, মার্টিনেজ, এমিলিয়ানো মার্টনেজের দারুণ কম্বিনেশন। দলটি যেন চ্যাম্পিয়ন হতেই মাঠে নেমেছিল। ম্যাচের ২৮ মিনিটে প্রথম কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলে। সতীর্থের পাস ধরে বাঁ পাশ থেকে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। তার তীব্র গতি রুখতে পারেনি প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়। দ্রুতগতিতে তিনি বল বাড়িয়ে দেন মার্টিনেজের কাছে। বাকি কাজ আলতো টোকাতেই সারেন তিনি।
ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ডি মারিয়া। চোখের পলকে বক্সে ঢুকে পায়ের প্রথম ছোঁয়ায় চিপ শটে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও একই গতি বজায় রাখে আর্জেন্টিনা। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হওয়া থেকে রক্ষা পায় ইতালি। পিছিয়ে থেকে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ে ইউরোপীয় দলটি। এই সুযোগে একের পর এক আক্রমণে তাদের দিশেহারা করে আর্জেন্টিনা।
কাঙ্ক্ষিত তৃতীয় গোল আসে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর বদলি নামা দিবালা গোল করে দলকে ৩-০ গোলের জয়ের আনন্দে ভাসান।
২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে কোনো ম্যাচ হারেনি আর্জেন্টিনা। এই নিয়ে তারা টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত রইল।
এর আগে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ও কোপা আমেরিকা জয়ীর মধ্যে এমন ম্যাচের আয়োজন হয়েছে ১৯৮৫ সালে ও ১৯৯৩ সালে। প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ফ্রান্স জিতেছিল ২-০ গোলে। দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয় পেয়েছিল আর্জেন্টিনা।