ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শুক্রবার (২৭ মে) রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালস মাঠে নেমেছিল। জশ বাটলারের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেছে রাজস্থান।
টস জিতে রাজস্থান প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও অধিনায়ক ফ্যাফ দু প্লেসি ওপেনিং শুরু করেন। তবে শুরুতেই হোঁচট খায় তারা। দলীয় ৯ রানে কোহলি সাজঘরে ফেরেন। রজত পতিধরকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। রজত অর্ধশতকের দেখা পেলেও ব্যক্তিগত ৫৮ রানে জশ বাটলারের দুর্দান্ত ক্যাচে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় তাকে।
বেঙ্গালুরর পক্ষে এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। দু প্লেসির ২৫, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ২৪ ও শাহবাজ আহমেদের ১২ ছাড়া বাকি ব্যাটাররা দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগেই আউট হন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বেঙ্গালুরুর ইনিংস থামে ১৫৭ রানে।
১৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাজস্থানের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও জশ বাটলার দারুণ শুরু করেন। দলীয় ৬১ রানে ব্যক্তিগত ২১ রানে জয়সওয়াল ফেরত যান জশ হ্যাজেলউডের বলে। বাটলার সাঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গে নিয়ে রানের খাতা সচল রাখেন। দলীয় ১১৩ রানে স্যামসন (২৩) আউট হন। বাকি কাজটুকু দেবদত্ত পদিকলকে নিয়ে সারেন বাটলার।
বাটলারের ব্যাট থেকে আসে ঝলমলে শতরানের ইনিংস। মাত্র ৬০ বলে ১০৬ রান করেন তিনি। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি চার ও ৬টি ছয়ে। এই নিয়ে এক আসরে ৪ সেঞ্চুরির মালিক হলেন তিনি। আইপিএলের এক আসরে কোহলি ২০১৬ সালে ৪ সেঞ্চুরি করেছিলেন। সাবেক ভারতীয় অধিনায়কের সামনেই বাটলার তার রেকর্ড ছুঁয়ে দিলেন। এর আগের ম্যাচেও ৮৯ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন তিনি।
রোববার (২৯ মে) শিরোপার লড়াইয়ে গুজরাট টাইটানসের মুখোমুখি হবে রাজস্থান। ১৪ বছর পর ফাইনালে উঠল দলটি।