আবারও চেলসিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা লিভারপুলের

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২২, ০২:৫৯ এএম
ছবি- সংগৃহীত

গত ফেব্রুয়ারিতে কারাবাও কাপে চেলসি-লিভারপুলের মধ্যকার ফাইনালের স্মৃতি আবারও মনে করিয়ে দিলো ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের সমর্থকদের মনে। আগের ফাইনালে ১১টি শটের পর এবার এফএ কাপের ফাইনালে ৭ শটের টাইব্রেকারে লিভারপুল জয় পেয়েছে ৬-৫ গোলের ব্যবধানে।        

শনিবার (১৪ মে) রাতে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই লিভারপুল এগিয়ে যাবার সুযোগ পেয়েছিল লুইজ ডিয়াজের পা থেকে। ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ডের পাশ থেকে বল পেয়ে এই পর্তুগিজ বল বাড়ায় জালের দিকে। কিন্তু নিশ্চিত গোল শেষ মুহূর্তে ঠেকিয়ে চেলসিকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক এডুয়ার্ডো মেন্ডি।

এরপর পাল্টা আক্রমণে চেলসিও এগিয়ে যেতে পারত। ২৩তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে ম্যাসন মাউন্ট এবং রিস জেমস মিলে দারুণ ওয়ান টু ওয়ান খেলে শেষ মুহূর্তে বল এগিয়ে দেন ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিককে। কিন্তু দারুণ সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারেননি এই ফুটবলার।

এর একটু পরেই আবারও সুযোগ আসে চেলসির কাছে। কিন্তু লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসনের কাছে পরাস্ত হন মার্কোস আলোনসো। তার শট শেষ মুহূর্তে সেভ করেন ব্রাজিলিয়ান এই গোলকিপার।

প্রথমার্ধের বিরতির মিনিট ১২ আগে ইনজুরির কবলে পড়েন লিভারপুলের সেরা তারকা মোহাম্মদ সালাহকে। মিশরীয় এই ফরোয়ার্ডের পরিবর্তে মাঠে নেমে দিয়েগো জোতা বিরতির শেষ মুহূর্তে দারুণ এক সুযোগ মিস করেন।

গোলশূন্যতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গতিময় ফুটবল খেলতে থাকে টুখেলের শিষ্যরা। কিন্তু বল জালের দেখা পায়নি। এরই মধ্যে পুলসিকের একটি শট ঠেকান অ্যালিসন। মার্কোস আলোনসোর একটি ফ্রি-কিক ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। পরে তেমন কোনো সুযোগ না পেলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

এই সময়ে সালাহর মত ডিফেন্ডার ভিরজিল ফন ডাইকের ইনজুরিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগে লিভারপুল বড় একটি ধাক্কা খায়। কিন্তু অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কেউ গোল করতে না পারলে শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে আগের ফাইনালের মত বাজিমাত করেছে লিভারপুলই। মৌসুমের দ্বিতীয় শিরোপার সঙ্গে কোয়াড্রাপল (চার শিরোপা) জয়ের সম্ভাবনাও টিকিয়ে রাখলো অল রেডরা।

এই হারে টানা তিন আসরে এফএ কাপের ফাইনালে হারের স্বাদ পেল চেলসি। ২০২০ সালে আর্সেনালের কাছে, ২০২১ সালে লেস্টার সিটির কাছে হারের পর এবার তারা হারলো লিভারপুলের কাছে। আর সবশেষ ২০০৬ সালের পর শিরোপা জয়ের সাথে চ্যাম্পিয়নের তালিকায় সংখ্যাটা আটে নিয়ে গেল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।