চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) শিরোপার লড়াইয়ে রোমাঞ্চতার অবসান হলো আবাহনী-শেখ জামালের ম্যাচে এসে। আবাহনীর বিপক্ষে ২৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়া দলকে অতিমানবীয় এক ইনিংস উপহার দিলেন নুরুল হাসান সোহান। তার ৮১ বলে অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটের অবিশ্বাস্য এক জয়ের সঙ্গে শেখ জামালকে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নের মুকুট এনে দেন জাতীয় দলের এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
ফলে এবারের ডিপিএলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল ইমরুল কায়েসের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এর আগে সবশেষ বিপিএলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জেতেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। লিগে শেখ জামালের পয়েন্ট ২৪। আর তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাশরাফির লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট। শেষ রাউন্ডে এই দুই দল মুখোমুখি হবে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৫ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে তারা। অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানের তোপের মুখে মোহাম্মদ নাইম শেখ ১৬, লিটন দাস ৪ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন ৮ রান করে।
এরপর মিডল অর্ডারে তরুণ দুই ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় আর আফিফ হাসান ধ্রুব আবাহনীকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেন। তৌহিদ হৃদয় ৭৫ বলে নিজের ফিফটি তুলে বিদায় নেন ৫৩ রান করে। ৪৪ বলে ২৯ রান করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত করেন ১২ রান।
অল্পতে গুঁটিয়ে যাবার শঙ্কায় থাকা দলটিকে ৭ম উইকেট জুটিতে ৭৫ রানের জুটি গড়ে লড়াকু এক সংগ্রহ এনে দেন জাকের আলি অনিক এবং মো. সাইফউদ্দিন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২২৯ রানের ইনিংসে জাকের আলির অবদান ৪৭ এবং ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফউদ্দিন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দলীয় ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর মধ্যে সাইফ হাসান (১৫), সৈকত আলি (১৭), ইমরুল কায়েস (১৫), মুশফিকুর রহিম (১৬) ও রবিউল হাসান রবি (৩) রান করে আউট হয়ে যান।
এরপর ধুঁকছে শেখ জামালকে আশা দেখান নুরুল হাসান সোহান এবং ভারতীয় রিক্রুট পারভেজ রাসুলের ৭২ রানের জুটি। কিন্তু দলীয় ১৫০ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট হিসেবে পারভেজ রাসুলের বিদায়ের পর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন সোহান। এই দুই ব্যাটারের ৮২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে প্রথমবার শিরোপার স্বাদ পেল ধানমণ্ডির ক্লাবটি।
ম্যাচে ৮১ বলে ৮ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। আরেক অপরাজিত ব্যাটার জিয়াউর রহমান করেন ২৬ বলে ৩৯ রান করে । ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সোহানের হাতে।