প্রথমবার আইপিএল খেলতে এসে যেন সব আলো নিজেদের দখলেই ধরে রাখতে মরিয়া নবাগত দল গুজরাট টাইটান্স। লিগে পয়েন্ট টেবিলের টপাররা আজ চোটের কারণে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া খেলতে পারেননি। তবুও চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে রান তাড়ায় ডেভিড মিলারের সঙ্গে নেতৃত্ব পাওয়া রশিদ খান অবিস্মরণীয় ভাবে দিয়ে গুজরাটকে জয় এনে দিলেন।
ডেভিড মিলারের শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ৫১ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে হারের মুখ থেকে জয় তুলে নিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। ইনিংসে অধিনায়ক রশিদ খানের ২১ বলে ৪০ রানের সহায়ক ইনিংসে চেন্নাইকে ৩ উইকেটে হারিয়ে এ বারের আইপিএলে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ জিতে লিগ তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রাখল নবাগত ফ্রাঞ্চাইজিটি।
রোববার (১৭ এপ্রিল) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে চেন্নাই। আগের ম্যাচের ছন্দে থাকা ওপেনার রবিন উথাপ্পা মাত্র তিন রানে আউট হয়ে যান। তাকে আউট করে চেন্নাইকে প্রথম ধাক্কা দেন গুজরাটের পেসার মোহাম্মদ শামি। এরপর আলজারি জোসেফও তুলে নেন মঈন আলীর উইকেট। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ১ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
চেন্নাইয়ের এমন দিনেই জ্বলে উঠেন গায়কোয়াদ। এবারের আসরে ফর্মহীন এই ব্যাটার ছন্দে ফেরার আভাস দিয়ে মিডল অর্ডারে জুটি বাঁধেন আম্বাতি রাইডুর সঙ্গে। দু’জনে মিলে দ্রুত গতিয়ে ৯২ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। গায়কোয়াদ ফিফটির দেখা পেলেও ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাইডু।
পরে গায়কোয়াদের ৭৩ রান আউট হয়ে গেলে কিছুটা খেই হারায় চেন্নাই। তবে শিভাম দুবে ও রবীন্দ্র জাদেজা শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে চেন্নাই।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে কোন রান করতে পারার আগেই সাজঘরে ফেরেন শুভমন গিল। পরের ওভারেও ফেরেন বিজয় শঙ্কর। এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে মিলে অভিনব মনোহর দলকে সামলানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। অভিনব ১২ ও ঋদ্ধিমান সাহা ১১ রান করে আউট হন। রান পাননি রাহুল তেওয়াতিয়াও।
হারের মুখে পড়ে যাওয়া গুজরাটকে আশা দেখাচ্ছিলেন একা হাতে মিলার। তবুও তিন ওভারে ৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য ভেদ করা কঠিনই ছিল নবাগত দলটির সামনে। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের ১৮তম ওভারে ৩ ছক্কা ও ১ চারে খেলার ছবি পুরোটায় বদলে দেন রশিদ খান। ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে ডোয়াইন ব্র্যাভো ২ উইকেট নিলেও এক বল বাকি থাকতেই গুজরাটকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।