বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রায় ৫০টি ফেডারেশন থাকলেও ফুটবল, হকি ছাড়া বাকি ফেডারেশনের নির্বাচনী উত্তাপ থাকে না তেমন। কিন্তু এবার বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচনের হাওয়া কিছুটা বয়েছিল ১২ কাউন্সিলরশিপের ওপর সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুসের আপত্তির কারণে। তবে এনএসসি অভিযোগকৃত ১২ কাউন্সিলরশিপের ওপর আনীত আপত্তি যাচাই বাছাই করে ৬টি কাউন্সিলরশিপ বাদ দেয়।
এমএ কুদ্দুসের আপত্তির কারণে ধারণা করা হচ্ছিল নির্বাচনের জন্য প্যানেল দেবেন তিনি। তবে কাউন্সিলরশিপের ওপর আপত্তি করলেও নির্বাচনের জন্য প্যানেল দেননি তিনি। ফলে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিনের নেতৃত্বাধীন প্যানেলেই নির্বাচিত হওয়ার পথে।
গত মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) প্রথম দিনে ৩০টি মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন মাজহারুল ইসলাম তুহিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ক্ষমতাসীনরা। আর গতকাল বুধবার মনোনয়নপত্র ক্রয়ের দ্বিতীয় দিন বিক্রি হয়েছে আরও দুটি ফরম। কার্যনির্বাহী কমিটির ২৪ পদের বিপরীতে ৩২ মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে।
১৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিল, পরদিন বাছাই, ১৯ এপ্রিল আপত্তি, পরদিন শুনানি, ২১ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ। ২৬ এপ্রিল নির্বাচন। সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুস প্যানেল না দেওয়ায় প্রায় সব পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এদিকে বাতিল হওয়া ৬টি কাউন্সিলরশিপ বাদ দিয়ে চূড়ান্তভাবে ৮৪ ভোটারের তালিকা প্রকাশ করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচন কমিশন। বাদ পড়া কাউন্সিলরদের তালিকায় রয়েছে - রংপুর সিটি করপোরেশন, খুলনা সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা, কুষ্টিয়া পৌরসভা ও যশোর পৌরসভা।
ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনা ছিল, কুদ্দুস গতবারের মতো এবারও নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হবেন। গত নির্বাচনে কুদ্দুসকে হারিয়ে তুহিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার যেহেতু এখনো মনোনয়নপত্র ক্রয় করেননি, বোঝায় যাচ্ছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন তুহিনের প্যানেল।