ভারতীয় জাতীয় দলের তারকা লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। ভারতের হয়ে সাদা বলে নিয়মিত মুখ তিনি। আইপিএলে গেল কয়েক মৌসুম রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর হয়ে খেললেও এবারের আসরে এই লেগি খেলছেন রাজস্থান রয়েলসের হয়ে। এক ভিডিওতে চাঞ্চল্যকর এক বিষয়ে মুখ খুলছেন এই বোলার। চাহাল বলেছেন, আইপিএল চলাকালে এক খেলোয়াড় তাকে হোটেলের ১৫ তলার বারান্দা থেকে ফেলে দিচ্ছিলেন।
ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালে। চাহাল তখন আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের সাথে ছিলেন। একদিন এক খেলোয়াড় তাকে কিছু একটা খাইয়ে মাতাল করার পরে ১৫ তলা হোটেলের বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি রাজস্থান রয়্যালসের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে চাহাল বলেন, "এটি ২০১৩ সালের কথা। তখন আমি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সাথে যুক্ত ছিলাম। আমাদের বেঙ্গালুরুতে একটি ম্যাচ ছিল এবং তার পরে সবাই একসাথে মিলিত হয়েছিলাম। সেখানে একজন খেলোয়াড় ছিলেন যিনি খুব মাতাল ছিলেন। তবে আমি তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। সে আমাকে একপাশে ডেকেছিল। সে আমাকে বাইরে নিয়ে বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছিল।"
তিনি এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আরও বলেন, "ওর ঘাড়ে হাত দিয়ে আমি ওকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। আমি যদি হাত সরিয়ে ফেলতাম, তবে সেখান থেকে পড়ে যেতাম। আমরা ১৫ তলায় ছিলাম তখন। হঠাৎ সেখানে অনেক লোক এসে জড়ো হয়ে পরিস্থিতি সামলে নিলো। আমি একরকম অজ্ঞান হয়ে গেলাম এবং আমার মুখে জল ছেটানো হলো। তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমরা যখন কোথাও যাই তখন আমাদের কতটা দায়িত্বশীল হওয়া দরকার। ওই পরিস্থিতিতে যদি একটি ছোট ভুল হতো, আমি নিচে পড়ে যেতাম।"
চাহাল ২০১১ সালেরও একটি ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন। যেখানে তার মুম্বাইয়ের সতীর্থ জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন এবং অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস তাকে বেঁধে রেখেছিলেন। এমনকি তার মুখ টেপ দিয়ে আটকেও রেখেছিলেন।
চাহাল বলেন, "এটা ২০১১ সালের ঘটনা। তখন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল। আমরা চেন্নাইতে ছিলাম। সাইমন্ডস প্রচুর 'ফলের রস' খেয়েছিল। আমি জানি না তার মনে কী ছিল। কিন্তু সে এবং জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন মিলে আমার হাত-পা বেঁধে বলল, 'এটা তোমাকেই খুলতে হবে।' তারা এতটাই মাতাল ছিল যে, আমার মুখে টেপও লাগিয়েছিল। কিন্তু পার্টির সময় আমাকে বাঁধার বিষয়টি পুরোপুরি ভুলে যায়। সকালে রুম পরিষ্কার করতে এসে একজন আমাকে দেখে উদ্ধার করে।"
সাইমন্ডস এবং ফ্র্যাঙ্কলিন ক্ষমা চেয়েছিলেন কী না এমন প্রশ্নের জবাবে চাহাল বলেন, "না, তারা বলেছিল, এত 'ফলের রস' খেলে সকালে কিছু মনে থাকে না।"