ব্যাট হাতে ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা ১৪১ রানের ইনিংসে তিনশ রানের সংগ্রহের পর বোলারদের দায়িত্বশীল বোলিংয়ে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ৩৬ রানে হারিয়েছে গোপিবাগের দলটি।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে আশরাফুলের ব্রাদার্স। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ব্রাদার্স। এরপর মাইশুকুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব শুরু করেন আশরাফুল।
এ দুজনের ১৫০ রানের জুটি ভাঙ্গে ৯২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে মাইশুকুরের বিদায়ে। এরপর মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদির সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়েন আশরাফুল। যেখানে ৩৮ বলে ৩০ রানের ইনিংস উপহার দেন আফ্রিদি।
এরপর শ্রীলঙ্কান রিক্রুট চতুরঙ্গ ডি সিলভার সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়েন আশরাফুল। এই ৬৮ রানের মধ্যে ৫১ রানই ছিল চতুরঙ্গ ডি সিলভার। মাত্র ২৫ বলে এই ইনিংস খেলে আউট হন চতুরঙ্গ। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
দলের অন্যরা যাওয়া আসার মধ্যে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ১৩৯ বলে ১৪১ রানে অপরাজিত থাকেন আশরাফুল। ইনিংসে ১৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। তার ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট ৩০৯ রান করে ব্রাদার্স।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ১ রানে ওপেনার মিজানুর রহমানের উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। এরপর আরেক ওপেনার জাকির হাসান এবং ভারতীয় রিক্রুট বাবা অপরাজিথের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে রূপগঞ্জ টাইগার্স।
কিন্তু ৩৩ রান করে জাকির এবং বাবা অপরাজিথ ৩৪ রানে বিদায় নিলে চাপে পড়ে রূপগঞ্জ। এরপর ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব ১১০ রানের জুটি গড়েন। আইয়ুব ৫৪ বলে ৫৮ রান করেন। আর ১০০ বলে বরাবর ১০০ করে আউট হন ফজলে মাহমুদ। তাদের বিদায়ের পর রূপগঞ্জের বাকি ব্যাটাররা আর দাঁড়াতে পারেননি। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ৩৬ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রিমিয়ার লিগের নবাগত দলটি।
বোলিংয়ে ব্রাদার্সের আবু হায়দার রনি, চতুরঙ্গ ডি সিলভা, সাকলায়েন সজিব এবং মানিক খান নেন ২টি করে উইকেট। ২ ওভার বল করে ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন মোহাম্মদ আশরাফুল।