দ. আফ্রিকায় জয়ের বিকল্প ভাবছেন না তামিম

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২২, ০৫:৫৭ পিএম
ছবি সংগৃহীত

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে শুক্রবার (১১ মার্চ) রাতে জোহানেসবার্গের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পূর্ণ শক্তির প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ১৮ মার্চ। স্বাগতিকদের সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ কি পারবে জয় নিয়ে ফিরে আসতে?

দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে যাবার আগে বুধবার (৯ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে আসেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দল হিসেবে তামিমদের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীরা। 

টাইগার অধিনায়ক জানালেন, দল জয়ের লক্ষ্য নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে। তামিমের বোধ ও উপলব্ধি, বাংলাদেশ ওয়ানডে ফরম্যাটে এখন এক পর্যায়ে আছে, যেখানে দাঁড়িয়ে জয় ছাড়া আসলে ভাবার কিছুই নেই।

আত্মবিশ্বাসী তামিম বলেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে, আমরা এমন একটা স্টেজে আছি জেতা ছাড়া অন্য কিছু বলাটা উচিত হবে না আসলে। অবশ্যই জয়ের লক্ষ্য নিয়েই যাবো।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস একেবারে সুখকর নয়। এছাড়া ঘরের মাটিতে প্রোটিয়াদের হারানোও কঠিন হবে সে উপলব্ধি আছে টাইগার ওয়ানডে অধিনায়কের কন্ঠে। এ প্রসঙ্গে দেশসেরা এই ব্যাটার বলেন, ‘এটাও সত্যি যে, সিরিজ জয় করাটা কঠিন। ওখানে আমাদের রেকর্ড অতটা ভালো না।’

তবে গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের সুখ স্মৃতি বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে। তামিম মনে করেন, নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও কখনো টেস্ট জয়ের নজির ছিল না। সে কৃতিত্ব যেহেতু অর্জিত হয়েছে, তখন দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে আগের না পারার রেকর্ডও বদলানো সম্ভব।

তাই তামিমের মুখে আত্মবিশ্বাসী সংলাপ, ‘রেকর্ড জিনিসটাই এমন যে, যে কোনো মুহূর্তে চেঞ্জ হতে পারে। গ্রেট উদাহরণ ছিল, নিউজিল্যান্ড টেস্ট। যেখানে আমরা অনেকদিন যে কেনো ফরম্যাটেই ভালো খেলিনি। আমরা সেই জিনিসটা পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমরা সবাই জানি এটা চ্যালেঞ্জিং। ওদের কন্ডিশনে ওরা খুবই ভালো দল। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো।’

তামিম যোগ করেন, ‘১০ বছর আগে বলতাম ভাল ক্রিকেট খেলতে চাই। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। আমি অবশ্যই জিততে চাই। ওটা করার জন্য যা যা করার দরকার তা তা করবো। তারপর যদি রেজাল্ট আসে ভেরি গুড। যদি না আসে আমরা আবারো কঠিন পরিশ্রম করবো।’ 

১৮ মার্চ সেঞ্চুরিয়নে শুরু হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। এরপর ২০ মার্চ জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ওয়ানডে ও আবারও সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে ২৩ মার্চ। এরপর ৩১ মার্চ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে ডারবানে। ৮ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট পোর্ট এলিজাবেথে।

বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াড: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন চৌধুরী, নাসুম আহমেদ, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান জয় ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ।

দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে স্কোয়াড: টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), কেশব মহারাজ (সহ-অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), জুবায়ের হামজা, মার্কো জানসেন, জ্যানেম্যান মালান, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিডি, ওয়েন পার্নেল, আন্দিলে ফেহলুকওয়ায়ো, ডোয়াইন প্রিটোরিস, কাগিসো রাবাদা, তাবরেজ শামসি, রাসি ভ্যান ডের ডুসেন ও কাইল ভেরেইন।