শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি ছিল ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলির ক্যারিয়ারের শততম ম্যাচ। মোহালিতে অনুষ্ঠিত টেস্টে কোহলি তেমন ইনিংস উপহার দিতে না পারলেও ভারতের অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা করেছেন এক রেকর্ড। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংসের পর বল হাতে ৪১ রানে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। অলরাউন্ড পারফর্মেন্সে শ্রীলঙ্কাকে ফেলে দিয়েছেন ফলো অনে।
জাদেজার এমন অলরাউন্ড পারফর্মেন্স ৪৯ বছর আগের রেকর্ডকে আবারও মনে করিয়ে দিল। একই টেস্টে ব্যাটিংয়ে ন্যুনতম ১৫০ রান ও বোলিংয়ে অন্তত ৫ উইকেট নেওয়া ক্রিকেট বিশ্বের ষষ্ঠ ক্রিকেটার হলেন টেস্ট ক্রিকেটে বর্তমানে তিন নম্বরে থাকা এই অলরাউন্ডার।
সবশেষ, ১৯৭৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১ রানের ইনিংস খেলার পর একই ম্যাচে ৪৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার মুশতাক মোহাম্মদ। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যার গ্যারি সোবার্স, ভারতের পলি উমরিগার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেনিস অ্যাটকিনসন ও ভারতের ভিনু মানকড় গড়েছেন এই কীর্তি।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে জাদেজা ১৭৫ রানের অপরাজিত ছিলেন। তবুও তারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৮ উইকেটে ৫৭৪ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে। এরপর ৪ উইকেটে ১০৮ নিয়ে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে। রোববার (৫ মার্চ) ম্যাচের তৃতীয় জাদেজার ঘূর্নিতে ১৭৪ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
ফলে ৪০০ রানের বিশাল লিড পেয়েছে ভারত। ফলো অনে পড়ে আবারও শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। এরই মধ্যে ১২১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ইনিংস পরাজয়ের মুখে পড়েছে সফরকারীরা। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই তাদের করতে হবে আরও ২৭৯ রান।
এক টেস্টে ১৫০ রান ও ৫ উইকেট নেয়া ক্রিকেটার
(১) ভিনু মানকড় - ১৮৪ রান ও ৫/১৯৬ বনাম ইংল্যান্ড, ১৯৫২
(২) ডেনিস অ্যাটকিনসন - ২১৯ রান ও ৫/৫৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১৯৫৫
(৩) পলি উমরিগার - ১৭২* রান ও ৫/১০৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৬২
(৪) স্যার গ্যারি সোবার্স - ১৭৪ রান ও ৫/৪১ বনাম ইংল্যান্ড, ১৯৬৬
(৫) মুশতাক মোহাম্মদ - ২০১ রান ও ৫/৪৯ বনাম নিউজিল্যান্ড, ১৯৭৩
(৬) রবীন্দ্র জাদেজা - ১৭৫* রান ও ৫/৪১ বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০২২