চলতি বছরের শেষ দিকে কাতারে অনুষ্ঠিত হবে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ। এজন্য বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ২৪ মার্চ প্লে–অফ সেমিফাইনালে স্কটল্যান্ডের হবার কথা ছিল ইউক্রেনের। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের পর এখন দেশটিতে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এমন পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ম্যাচটা স্থগিত করতে ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানিয়েছে ইউক্রেন অ্যাসোসিয়েশন অব ফুটবল (ইউএএফ)।
কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের ‘ডি’ গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে ইউক্রেন প্লে–অফে উন্নীত হয়। গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ইউক্রেনের। কিন্তু দেশটিতে এখন ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে, জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা দেশ ছাড়তে পারবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা আছে। ইউক্রেনের আবেদনের খবরটি নিশ্চিত করে ফিফা জানিয়েছে, ‘উয়েফা ও স্কটিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে সঠিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সূত্র মারফত ইএসপিএন জানিয়েছে, ইউক্রেনের খেলোয়াড়দের নিরাপদে দেশ ছাড়তে সাহায্য করতে চায় ফিফা ও উয়েফা। এই মুহূর্তে ইউক্রেন অ্যাসোসিয়েশন অব ফুটবলের (ইউএএফ) যে সাহায্য প্রয়োজন, তা বুঝেই প্রস্তুত আছে ফিফা ও উয়েফা।
ইএসপিএন জানিয়েছে, গত নভেম্বরে বসনিয়ার বিপক্ষে বাছাইপর্বে ইউক্রেন যে ২৩ সদস্যের দল গড়েছিল, এর মধ্যে ১৫ জন ইউক্রেনেই ক্লাব ফুটবল খেলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আন্দ্রিই পিয়াতভ, মাইকোলা মাতভিয়েঙ্কো, তারাস স্তেপানেঙ্কো, সের্হি সিদোরচুকের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। গত মাসে ঘরোয়া লিগ স্থগিত হওয়ার পর ইউক্রেন জাতীয় দলের বেশির ভাগ ফুটবলারই দেশে আটকা পড়েছেন।
এদিকে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশে থাকার নির্দেশনা জারি করেছে ইউক্রেন সরকার। ইএসপিএনকে সূত্র জানিয়েছে, সরকারের আদেশ পালন করতে চান বেশির ভাগ ফুটবলার।
প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে তারা যুদ্ধে নামতেও প্রস্তুত। এর পাশাপাশি যুদ্ধের সময় পরিবারের পাশে থাকার তাড়না তো আছেই। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরাও অনুশীলন করতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে বাছাইপর্বে প্লে–অফ সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলার ঝুঁকি নিতে চায় না ইউক্রেন।
ফিফা ইউক্রেনের ম্যাচ স্থগিত করার অনুরোধ রাখতে চায়। সূত্র জানিয়েছে, ম্যাচটা পিছিয়ে জুনে নেওয়া হতে পারে। কাতারে এ বছর বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে ১ এপ্রিল। টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২১ নভেম্বর।