বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন ওপেনিংয়ে নামা ক্যারিবিয় অলরাউন্ডার সুনীল নারাইন।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলে এবারের আসরের ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গে ব্যাটিং করতে আসেন ক্যারিবিয় অলরাউন্ডার সুনীল নারাইন। তৃতীয় ওভারের মধ্যেই তারা তুলে ফেলে ৪০ রান। কিন্তু সাকিবের গুড লেন্থের বল খেলতে গিয়ে ৬ বলে ৪ রান করা লিটন ক্লিন বোল্ড হয়ে বিদায় নেন।
পাওয়ার প্লের পঞ্চম ওভারেই ২১ বলে নারাইন তুলে নেন এবারের বিপিএলে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি। পরের ওভারে নারাইন বিদায় নেন ২৩ বলে ৫৭ রান করে।
নারাইনের বিদায়ের পর আবারও আফগান স্পিনার মুজিবকে বোলিংয়ে আনেন সাকিব। অধিনায়কের আস্থার মান রাখেন এই আফগান স্পিনার। পরে ৩ ওভারে স্পেলে ফিরিয়েছেন ফাফ ডু প্লেসি (৪) আর আরিফুল হককে (০)।
তার আগে ব্রাভোর দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউটে কাটা পড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। ৭ বল খেলে ৮ রানে ফেরেন তিনি। বল হাতেও সাফল্য পেয়েছেন ব্রাভো। ইমরুলকে আউট করেন ব্যক্তিগত ১২ রানে। উড়তে থাকা কুমিল্লা হঠাৎ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
৯৫ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন মঈন আলি আর আবু হায়দার রনি। তাদের সপ্তম উইকেটে ৫২ বলে ৫৪ রানের পার্টনারশিপে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। যদিও রনির ব্যাটিং একেবারেই টি-টোয়েন্টি সূলভ ছিল না। কিন্তু তার ২৭ বলে ১৯ রান কুমিল্লার ইনিংসে অনেক কার্যকর ভূমিকা রাখে। আর মঈন আলী করেন ৩২ বলে ৩৮ রান।
ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের সংগ্রহ পেয়েছে কুমিল্লা। বরিশালের মুজিব ও শফিকুল নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া সাকিব ও ব্রাভো নেন একটি করে উইকেট।
এবারের বিপিএলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লাকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নেয় বরিশাল। অন্যদিকে কুমিল্লা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে জায়গা করে নেয়।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সদের সামনে বিপিএলের তৃতীয় শিরোপার হাতছানি। আর ইমরুল কায়েসের সামনে একের অধিক শিরোপা জয়ের। মাশরাফি বিন মর্তুজার পর দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে কায়েস।
অন্যদিকে বরিশালের কান্ডারি সাকিব আল হসানের সামনে অধিনায়ক হিসেবে এবং বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য প্রথম শিরোপা জয়ের সুযোগ।