নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নসের দুঃসময় যেন কাটছেই না। হৃদ্যন্ত্রের মহাধমনিতে গুরুতর সমস্যা ধরা পড়ার কারণে হৃদ্যন্ত্রের অস্ত্রোপচার করা হয় তার। তবে অস্ত্রোপচারের সময় স্ট্রোক হলে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর পাঁচ মাস ধরে হাসপাতালে ছিলেন ৫১ বছর বয়সী কেয়ার্নস। সেখান থেকে তিনি বাড়ি ফিরেছেন এক সপ্তাহও হয়নি। এরই মধ্যে খবর পেলেন অন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি।
নিয়মিত চেকআপের ফলাফলে তার ক্যানসার আক্রান্তের কথা জানতে পারেন কেয়ার্নস। সেই খবরটা ইনস্টাগ্রামে জানালেন ৫১ বছর বয়সী কেয়ার্নস।
তিনি লিখেছেন, গতকাল আমাকে বলা হলো, আমার অন্ত্রে ক্যানসার হয়েছে। বড় চমক হয়েই এসেছে বিষয়টা; কারণ, আমি এমন কিছু মোটেও প্রত্যাশা করিনি। তাই এখন আবার শল্যচিকিৎসক আর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব, আমার কী করা উচিত। তবে আমি সব সময়ই ভাবি, জীবনের এই পর্যায়ে আসতে পারার জন্য আমি কত ভাগ্যবান!
১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ক্রিস কেয়ার্নসের। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬২টি টেস্ট ও ২১৫টি ওয়ানডে খেলেছিলেন কেয়ার্নস। টেস্টে ৩ গড়ে ৩ হাজার ৩২০ রান করেছেন তিনি। শতক করেছেন ৫টি ও ২২টি অর্ধশতক। আর মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে উইকেট নিয়েছেন ২১৮টি। আর ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০১ উইকেট ও ৪ হাজার ৯৫০ রান করেছিলেন তিনি।
আরেক লড়াইয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন বলে কেয়ার্নস জানান, খুব বাজে সপ্তাহ যে কেটেছে, তা-ও নয়; ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করেছি, নোয়ার (ছেলে) জন্মদিনও পালন করেছি। আরও একটা লড়াই সামনে। আশা করি, প্রথম রাউন্ডেই এই লড়াইয়ের বিপক্ষে বিজয়ী হব।
একসময় বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ভাবা হতো তাঁকে। ২০০০ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দারুণ এক শতক করে জিতিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডকে। কেয়ার্নসের বাবা ল্যান্সও নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন।
তবে তার মাঠের এই অর্জন কিছুটা ম্লান হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে। যদিও কেয়ার্নস নিজে এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন বরাবরই। করেছেন দুটো কোর্ট কেসও। দুইবারই বিজয়ীর হাসি হেসেছেন তিনিই। খেলার মাঠে তো অনেক কিছুই জয় করেছেন, এবার জীবনব্যাধী ক্যান্সারকেও কি হারাতে পারবেন এই কিউয়ি সাবেক লিজেন্ড?