সদ্যই ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন হরভজন সিং। তবে ছাড়তে চাইলেই কি মাঠের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ক্রিকেটের সঙ্গে ২৩ বছরের সখ্যতা কি এত সহজেই শেষ হয়ে যায়। না, সখ্যতা একেবারেই শেষ হয়নি হরভজন সিংয়ের। অবসর নেওয়ার পরের দিনই জলন্ধারের বার্লটন পার্ক স্টেডিয়ামে ছুটে এসেছেন মিস্টার সিং। এই মাঠেও শুরু হয়েছিল তার ক্যারিয়ার, তাই মাঠে এসে হাঁটু গেড়ে বসে পিচে চুম্বন করেছেন তিনি।
১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে ১৫ বছর ৪ মাস বয়সে পাঞ্জাবের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন হরভজন। অভিষেক ম্যাচে হরিয়ানার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসেই ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। আর দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।
পরের ম্যাচে বোলিং এর পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দিল্লির বিরুদ্ধে ৫৬ রান করেন হরভজন। নিজের তৃতীয় ম্যাচে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন হরভজন। তাই এই মাঠে এসে নিজেকে আর ধরা রাখতে পারলেন না সিং। যে মাঠের কারণেই আজ বিশ্বজুড়া খ্যাতি হরভজনের সে মাঠে এসে পিচকে চুম্বন করাটা তো স্বাভাবিকই ছিল।
এরপর অনূর্ধ্ব-১৬ দলে খেলার সুযোগ পান তিনি। আর মাত্র ১৫ বছর ৯ মাস বয়সেই অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান। ১৯৯৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন এই অফস্পিনার।
এরপর জাতীয় দলেও সুযোগ পান হরভজন। ১৯৯৮ সালের ২৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তার। এরপরের গল্প সবারই জানা, ভারতের হয়ে ১০৩ টেস্টে ৪১৭ উইকেট, ২৩৬ ওয়ানডে ম্যাচে ২৬৯টি উইকেট আর ২৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ২৫ উইকেট শিকার করেন তিনি।